আমদানির ঘোষণায় খাতুনগঞ্জে ১৩০ টাকার পেঁয়াজ ৯০ টাকা
ছবি: সংগৃহীত
বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসার পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি অনুমোদনে সরকারের ঘোষণার প্রভাব পড়েছে বাজারে। শনিবার ৩০ টনের ৫০টি আইপি দেওয়ার তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ খবরে সারাদেশে পাইকারি ও খুচরা দুই বাজারেই প্রভাব পড়ে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকার পেঁয়াজের আড়তগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি আড়তে এসেছে নতুন পেঁয়াজ। মেহেরপুরি জাতের এ পেঁয়াজ পাবনা ও সিরাজগঞ্জের পেঁয়াজের চেয়ে আকারে বড়। নতুন মেহেরপুরি পেঁয়াজ এসেছে। এগুলে কেজিতে ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার কিংবা শনিবার যে পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল সেটি নেমেছে ৯০ টাকায়। আবার মেহেরপুর জাতের নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০-৮৫ টাকায়।
সারাবছর বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল স্বাভাবিক। এতে একদিকে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন, অন্যদিকে আমদানি না হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েকদিনে হঠাৎ করে দেশি পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়তে থাকলে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
আরও পড়ুন: দুই দিনে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা, ক্রেতারা বিপাকে
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়রা জানান, এখনো আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বাজারে আসেনি। তবে নতুন মৌসুমের আগাম দেশি পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। আরও পেঁয়াজ আসছে। কিন্তু শনিবার সরকারিভাবে আইপি দেওয়ার খবর প্রচারের পর পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। প্রতি কেজিতে ৩৫-৪০ টাকার মতো কমেছে দাম। যে পেঁয়াজ বৃহস্পতিবার ১১০ টাকায় বিক্রি করেছি সেটি ৭৫ টাকায় নেমেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








