News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:১৭, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

এনইআইআর বিরোধে মোবাইল ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট

এনইআইআর বিরোধে মোবাইল ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট শুরু করেছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই দেশের প্রধান শহরগুলোতে দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। 

একই সঙ্গে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে।

ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি (এমবিসিবি)। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়ীদ পিয়াস জানিয়েছেন, রবিবার সকাল থেকেই সারাদেশে দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা দলে দলে বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

ব্যবসায়ীরা আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ এবং মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। 

তাদের অভিযোগ, কোনো পূর্ব-পরামর্শ ছাড়াই হঠাৎ এনইআইআর বাস্তবায়নের ঘোষণা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

আরও পড়ুন: প্রবাসীদের মোবাইল ফোন আমদানিতে গুরুত্বপূর্ণ ৭ সিদ্ধান্ত

এমবিসিবি নেতারা বলেন, দেশের মোবাইল ফোন ব্যবসার প্রায় ৭০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার যাদের হাতে, তাদের সঙ্গে আলোচনার আগে একতরফাভাবে এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে। এতে সাধারণ ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আর কেবল গুটিকয়েক ব্যবসায়ী সুবিধা পাবেন।

বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো বিদেশি ব্র্যান্ড যদি স্থানীয়ভাবে পণ্য সংযোজন করে, তবে অন্য প্রতিষ্ঠান সেই ব্র্যান্ডের কোনো মডেল আমদানি করতে পারবে না। 

নেতাদের মতে, এতে ‘মনোপলি’ বা একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, যা প্রতিযোগিতা হ্রাস করবে এবং ১৮ কোটি মানুষের বাজার নিয়ন্ত্রণ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাবে। এর ফলে গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের দামও বৃদ্ধি পাবে।

সংগঠনটির তথ্যমতে, দেশের মোবাইল ফোন খাতে প্রায় ২৫ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবিকা জড়িত। ব্যবসায়ীদের স্টকে বর্তমানে শত শত কোটি টাকার হ্যান্ডসেট রয়েছে, যা আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব নয়। 
তারা জানিয়েছেন, দাবি না মানলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন।

এমবিসিবি নেতারা স্পষ্ট করে বলেছেন, তারা এনইআইআরের বিরোধী নন। তবে তারা ন্যায্য করনীতি, কিছু সংস্কার, সিন্ডিকেট বিলোপ এবং মুক্ত প্রতিযোগিতার স্বার্থে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। অন্যথায় বাজারে অস্থিরতা এবং বৃহৎ আর্থিক ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়