News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:০৭, ১ এপ্রিল ২০১৫
আপডেট: ০১:২৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

স্বাধীন নয় দুদক, ইসি স্বাধীন: শামসুল হুদা

স্বাধীন নয় দুদক, ইসি স্বাধীন: শামসুল হুদা

ঢাকা: সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা বলেছেন, “বাংলাদেশে স্বাধীন নয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যেমন স্বাধীন অন্যান্য দেশের এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান।

তিনি বলেন, “আমাদের নির্বাচন কমিশন প্রকৃত অর্থে স্বাধীন।”

বুধবার দুপুরে দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ-২০১৫ উপলক্ষে দুদকের সম্মেলন কক্ষে ‘রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও প্রশাসনিক সংস্কার, দুয়ে মিলে হতে পারে দুর্নীতির প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

শামসুল হুদা বলেন, “বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন প্রকৃত অর্থে স্বাধীন। তারা আর্থিক কিংবা প্রশাসনিক কোনো বিষয়ে সরকারের ওপর নির্ভরশীল নয়। কিন্তু দুদক প্রকৃত অর্থে স্বাধীন নয়। একারণে দুদককে অধিক কার্যকর হতে সরকারের অধীনতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”


তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সবচেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে আইনি কাজে ঘুষ দিতে হয়। আয়কর ফাইল ধরে ধরে ঘুষ নেওয়া হয়। কারণ যে ক্লার্ক কিংবা অফিস কর্মকর্তা চাকরি নিয়েছেন সে ঘুষের বিনিময়ে চাকরি নিয়েছেন। ফলে তাদের ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। বাংলাদেশে মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতির মাত্রা অনেক বেশি। এক্ষেত্রে জনগণ সরাসরি ভুক্তভোগী। তাই মাঠ পর্যায়ের দুর্নীতি দূর করা প্রয়োজন।”

সাবেক এই সিইসি আরও বলেন, “দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে দেশে প্রবৃদ্ধির কোনো সংযোগ নেই। দুর্নীতির মাধ্যমে ধনীদের চেয়ে গরিবরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে এর ব্যাপকতা রয়েছে।”


সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, “দুর্নীতি রোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করতে হবে। দরকার দুর্নীতির বিস্তার রোধ করা। মানুষ দুর্নীতি করাকে ভয় পায় না। দুর্নীতি করাকে ভয় পেতে হবে। সেজন্য দুদককে কঠোর হতে হবে।”

দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ২০০৪ সালে দুদক প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা দৃশ্যমান কিছু উদাহরণ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এর নানা নজির রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোহাব্বত খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, “বর্তমানে দুদক অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি প্রশাসন ও আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভর করছে, কারণ তাদের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কাম্য স্বাধীনতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। যদি সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক অঙ্গীকার না থাকে, তাহলে দুদক কখনই এককভাবে দুর্নীতির প্রতিকার করতে পারবে না।”

দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. জমির, সাবেক সচিব ইনাম আহমেদ চৌধুরী, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সাংবাদিক রাহাত খান, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, কলামিস্ট আবুল মকসুদ প্রমুখ

নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়