News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৫১, ৪ অক্টোবর ২০২৫
আপডেট: ১৪:০১, ৪ অক্টোবর ২০২৫

মোহাম্মদপুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, এনসিপি নেতাসহ কারাগারে ৪

মোহাম্মদপুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, এনসিপি নেতাসহ কারাগারে ৪

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার সমন্বয়ে দৃশ্যমান প্রতিরোধ গড়ে উঠছে। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে শিয়া মসজিদ সংলগ্ন মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটি রোডের নূর মসজিদ এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা ও বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে এ প্রতিবাদে অংশ নেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের কয়েকজন নেতা বিএনপির নাম ব্যবহার করে দোকানদারদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকাবাসী ও বিএনপি নেতারা একত্রিত হয়ে ঘোষণা দেন—এলাকায় আর কোনো ধরনের চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না। মিছিলে উপস্থিত নেতারা বলেন, “জনগণের অর্থ লুট করে কেউ পার পাবে না।”

ফুটপাতের দোকানদার মফিজুল ইসলাম জানান, একসময় প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ২০০ টাকা, পুলিশের জন্য সপ্তাহে ২০০ টাকা এবং টহল গাড়ির জন্য প্রতিদিন ২০ টাকা করে দিতে হতো। কিছুদিন বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি একটি গ্রুপ আবারও টাকা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছিল। তবে বিএনপি নেতারা দোকানদারদের স্পষ্ট নির্দেশ দেন—কাউকে কোনো টাকা না দিতে।

নূর মসজিদ সংলগ্ন ফুটপাতে প্রায় ৫০টি দোকান রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় হাজারো দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. সাত্তার, মোহাম্মদিয়া হাউসিং ইউনিট বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ জাকির হোসেন, আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মানিক, মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আবু তাহের, যুবদল নেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে, একই দিন মোহাম্মদপুরে চাঁদাবাজির মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দুইদিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত মদ্যপানে দুইজনের মৃত্যু

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন— এনসিপির মোহাম্মদপুর থানার যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুর রহমান মানিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বি, হাবিবুর রহমান ফরহাদ ও মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০ সেপ্টেম্বর রাতে সেফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা নিতে এসে মো. শাহিন একটি মৃত সন্তান প্রসবের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে বাদী ১ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এরপরও আসামিরা মোবাইল ফোনে আরও টাকা দাবি করে।

২৮ সেপ্টেম্বর রাতে সেনাবাহিনী বসিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আদালত তাদের রিমান্ডে পাঠায় এবং রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়