News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ৩ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝুলন্ত ও ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝুলন্ত ও ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

ফাইল ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পৃথকভাবে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) রাজধানীর হাজারীবাগ, গেণ্ডারিয়া ও রমনা পার্ক এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। 

নিহতদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্র ফেরত শিক্ষার্থী, একজন রিকশাচালক এবং একজন মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাজারীবাগে যুক্তরাষ্ট্র ফেরত শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ

হাজারীবাগ মিতালি রোডের একটি বাসা থেকে বিদ্যাধরী সূর্য্য প্রসাদ দাস (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ইংলিশ মিডিয়ামে ‘ও’ ও ‘এ’ লেভেল শেষ করার পর যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পাঁচ বছরের গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে গত বছর দেশে ফিরে আসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম তার কক্ষের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিদ্যাধরী একাই ওই কক্ষে থাকতেন এবং খুব কমই কারও সঙ্গে মিশতেন। ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় তিনি কক্ষে প্রবেশ করেন এবং এরপর আর বের হননি। শুক্রবার সকালে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যাবে।

আরও পড়ুন: মিরপুরে হঠাৎ গুলি ছুড়ে বাসে আগুন

গেণ্ডারিয়ায় রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ 

গেণ্ডারিয়ার ফরিদাবাদ এলাকা থেকে আব্দুল জলিল (৬০) নামে এক রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গেণ্ডারিয়া থানার এসআই তৌফিক আনান জানান, শুক্রবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে তুলার গলির ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে তিনি গলায় ফাঁস দেন।

আব্দুল জলিল গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রমনা পার্কের লেকে ভাসমান লাশ

রমনা পার্কের লেক থেকে ওয়াসিমুল হক (৫৫) নামে একজন ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রমনা থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওয়াসিমুল হক ইস্কাটন গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা। তার মামাতো ভাই হেলাল খান জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে রমনা পার্কে যান। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা তার জুতা খুঁজে পান এবং পরে লেক থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার হয়।

হেলাল খানের আরও তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৫–২০ বছর আগে একই স্থানে ওয়াসিমুলের আরেক চাচাতো ভাই রবিন ডুবে মারা গিয়েছিলেন।

নিহতদের মরদেহ বর্তমানে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ নিহতদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়