ফেনীতে বাস উল্টে নিহত ৩

ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিলোনিয়া বাজারে যাত্রীবাহী সুগন্ধা পরিবহনের একটি বাস উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নিহতরা হলেন— দাগনভূঞা উপজেলার জায়ালস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ জায়ালস্কর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো. শ্রাবণ (২০), খুশিপুর গ্রামের মো. শহীদুল্লাহর স্ত্রী শামীম আরা বেগম (৫০) এবং আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত যুবক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফেনী থেকে নোয়াখালীর দিকে যাচ্ছিল সুগন্ধা পরিবহনের বাসটি। সিলোনিয়া বাজারে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়, পরে উল্টে গিয়ে পাশের একটি দোকানের ওপর পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অন্তত দুইজন নিহত হন। গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল, দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: তারাকান্দায় বৃদ্ধের চুল কাটার ঘটনায় গ্রেফতার ১

স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় আহত অন্তত ২০ জনের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনেককে চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শোয়েব ইমতিয়াজ নিলয় বলেন, আজ সকালে সিলোনিয়া বাজার এলাকায় সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশিদ জানান, আমরা নিহত ও আহতদের খবর পেয়েছি। পুলিশ উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

তবে অপর এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, চালকের বেপরোয়া গতিই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হতে পারে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেন। তারা আহতদের বাস থেকে বের করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।

একই ঘটনায় বিভিন্ন সূত্রে নিহতের সংখ্যা তিনজন এবং আহতের সংখ্যা ১০ থেকে ২০ জন বলা হলেও, ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ও স্থানীয় প্রশাসনের নিশ্চিত তথ্যমতে নিহত হয়েছেন তিনজন এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় জানা গেলেও একজন অজ্ঞাত রয়ে গেছেন।