রিজার্ভে ইতিবাচক প্রবাহ, ছুঁয়েছে ৩১.৩৯ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ৩১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন বা ৩১৩৮৮ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা ২৬৩৯৯ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এর আগে, ২৮ আগস্ট পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। আর তারও আগে, ২৭ আগস্ট রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়, যা ছিল ৩১ বিলিয়ন ৩৩ লাখ ডলার। একই দিনে আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৬ বিলিয়ন ৩১ লাখ ডলার। আরও আগে, ২১ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার ছিল।

আরও পড়ুন: পণ্য রপ্তানিতে জুলাইয়ে রেকর্ড, আগস্টে ধাক্কা

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ নির্ধারণ করা হয়।

২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। তবে সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে রিজার্ভ নেমে আসে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে।

এরপর সরকার পরিবর্তনের পর থেকে অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কারণে দেশে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। বিশেষ করে হুন্ডি ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৪১২ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।