মিরপুর অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় তারেক রহমানের শোক
ফাইল ছবি
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তারেক রহমান বলেন, মিরপুরের গার্মেন্টস কারখানা ও কেমিক্যাল গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ নিহতদের আত্মাকে চির শান্তি দিন এবং আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা দান করুন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা বারবার ঘটছে, যা শুধু শোকই নয়, অনেক প্রশ্নও রেখে যায়। আমাদের অবশ্যই কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর মানদণ্ড বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে, যাতে অবহেলার কারণে আর কোনো জীবন ঝরে না যায়।
অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির এই ঘটনায় তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন অবিলম্বে কার্যকর ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তদন্তে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্নের পাশে রাষ্ট্র থাকবে: তারেক রহমান
তারেক রহমান আরও বলেন, যেসব পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যারা এ ঘটনার প্রভাব ভোগ করছেন, তাদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা ও প্রার্থনা রইলো।
তিনি কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা মানদণ্ড বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, আমাদের অবশ্যই কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার মান নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে, যাতে অবহেলার কারণে আর কোনো প্রাণহানি না ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি যোগ করেন, তদন্তে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে মিরপুরের শিয়ালবাড়ির এই অগ্নিকাণ্ডে আরও অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছেন স্বজনরা। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস সন্ধ্যা ৭টার দিকে জানিয়েছে, পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামের আগুন তখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঘটনাস্থলে স্বজনদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক উৎসুক জনতা জড়ো হয়েছেন। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
অগ্নিকাণ্ডে ছয় থেকে সাত প্রকার রাসায়নিক মজুত ছিল বলে ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যা আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








