দেশে ফিরে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন তারেক রহমান
ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। দীর্ঘ অনিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হওয়ায় এবারের নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ১৫ বছর পর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়ে জনগণ উৎসাহিত, আর রাজনৈতিক দলগুলোও নিচ্ছে বাড়তি সতর্কতা।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে।
দলটির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, ৩০০ আসনের প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। তবে চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা হবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান নিজেই তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন এবং শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।
বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকেত দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা হবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন: ‘প্রশাসনে একটি ধর্মভিত্তিক দলের অনুগতদের বসানো হচ্ছে’
দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে বিএনপি পাঁচটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে:
ক্লিন ইমেজ: প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, দখল বা অপরাধমূলক অভিযোগ না থাকা আবশ্যক।
জনপ্রিয়তা: নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ও জনসম্পৃক্ততা জরিপের মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে।
ত্যাগ ও সংগ্রাম: গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা নির্যাতিত হয়েছেন বা পরিবারে ক্ষতি সহ্য করেছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তবে অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।
সংগঠনের প্রতি অবদান: দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সংগঠন রক্ষায় ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেওয়া হবে।
দলীয় কোন্দল থেকে মুক্ত: যারা গ্রুপিং বা অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়াননি, তাদের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, কিছু আসনে সমমানের একাধিক প্রার্থী থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান নিজেই। শরিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত আসনের তালিকা চাওয়া হয়েছে এবং কয়েকটি দল ইতিমধ্যে তাদের প্রার্থী তালিকা হস্তান্তর করেছে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বিত দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি। গণতন্ত্রের পথে এই যাত্রায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা হবে নির্ধারক।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








