News Bangladesh

লাইফস্টাইল ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

শীতে কত লিটার পানি পান করতে হবে?

শীতে কত লিটার পানি পান করতে হবে?

ছবি: ইন্টারনেট

শীত এলে অনেকেই পানির সঙ্গে যেন আড়ি করে বসেন। পানি পানের অভ্যাস কমে যায়, কারণ তাঁদের ধারণা-পানি কম খেলেই বাথরুমে কম যেতে হবে। আবার কেউ মনে করেন, ঠান্ডা যতই পড়ুক না কেন, প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান না করলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যেতে পারে। তাহলে আসল সত্য কী? শীতে কতটা পানি পান করাই বা যথেষ্ট?

শীতকালে কতটুকু পানি পান করা উচিত? 
শীতে এমনিই ঘামের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। অনেকের ঘাম হয় না বললেই চলে। আর তাই শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হওয়ার রাস্তা কেবল একটাই। তা হলো টয়লেট। শীতে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় এই কারণেই। 

ইউরোলজিস্টের মতে, বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে শীতকালে বার বার বাথরুমে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। অনেক সময় বেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এছাড়া এই সময় কফি-চা খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই এসময় একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অনেকের শীতেও ঘাম হয়। তাদের বেশি পানি পান করতে হয়। 

শীতে পানি কম খেলে কোনো সমস্যা হতে পারে?
সাধারণত এমন কোনো সমস্যা দেখা যায় না। গরমকালে আমাদের শরীরে ঘামের মাধ্যমে যতটা পানি বেরিয়ে যায়, শীতকালে তা প্রায় শূন্য হয়ে যায়। তবে কেউ যদি প্রচণ্ড শারীরিক পরিশ্রম করেন বা ব্যায়াম করেন বা এমন কোনো কাজ করেন যেখানে অত্যন্ত ঘাম হচ্ছে, তাহলে তাদের অবশ্যই পানি বেশি খেতে হবে। 

পানি কম খেলে কী কিডনি স্টোন হওয়ার প্রবণতা বাড়ে?
কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার বিষয়টি আসলে ডিহাইড্রেশনের ওপর নির্ভর করে। শরীরে ডিহাইড্রেশন হলে, সেখান থেকেই কিডনিতে পাথর হয়। আপনি কতক্ষণ রোদে ঘুরছেন, কতটা ঘাম হচ্ছে, কতটা পানি খাচ্ছেন, সেই অনুপাতের ওপর নির্ভর করে ডিহাইড্রেশন হবে কি না সেটা।

সাধারণত কতটুকু পানি পান করা উচিত? 
শীতে পানি কম খাওয়া হবে না কি বেশি তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে স্থান, কাল, পাত্র ভেদে। মানে ঠান্ডার দেশে সাধারণ পানি খাওয়ার মাত্রা আর আমাদের দেশের মতো আর্দ্র জায়গায় পানি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কখনও এক হতে পারে না। আমাদের দেশের জলবায়ু অনুযায়ী দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত। শীতে সামান্য কম খেলেও চলবে।

আরও পড়ুন: ঝটপট রান্না: গুতুম মাছের সুস্বাদু চরচরি

ডিহাইড্রেশন হচ্ছে কি না বুঝবেন কীভাবে?
বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখলে বোঝা যায় ডিহাইড্রেশন হয়েছে। যেই যেমন- গাঢ় হলুদ প্রস্রাব, প্রস্রাবে তীব্র গন্ধ, অল্প কাজ করেও ক্লান্ত, মুখ, চামড়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, ঠোঁট ফাটাজিভ শুকিয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালা অনুভব করা।

এসব লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হন। এগুলো ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ। এমনটা হলে পানি পানের পরিমাণ বাড়ান। 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়