জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু, উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ মাসব্যাপী আলোচনা ও প্রস্তুতির পর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শুরু হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানটি।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্য এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
উপস্থিত রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনুষ্ঠানটি উপেক্ষা করেছে।
আরও পড়ুন: জুলাই যোদ্ধাদের দাবিতে সনদের ৫নং দফায় সংশোধন: আলী রীয়াজ
দেশের ৫৬টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২১টি এবং কয়েকটি অনিবন্ধিত দলসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা প্রায় আট মাস ধরে ধারাবাহিক বৈঠকের পর চূড়ান্ত করেন জুলাই জাতীয় সনদ। বৈঠকের সময় বিভিন্ন দল আদর্শগত মতবিরোধ, উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় এবং ওয়াকআউটের ঘটনা ঘটালেও বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে এক ছাদের নিচে বসে কার্যক্রম চালিয়ে যান।
অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় খোলা আকাশের নিচে। বৃষ্টির কারণে অতিথিদের কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কেউ কেউ ছাতা সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।
সকালে সাড়ে ১০টায় ‘জুলাই যোদ্ধারা’ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নেন। তারা জুলাই সনদে আইনি ভিত্তি ও নিজেদের দায়মুক্তিসহ তিন দফা দাবিতে মঞ্চে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ও ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেডের জন্য রাখা রোড ব্লকারগুলো একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দেন। জুমার নামাজের পর পুলিশ ও আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মঞ্চে পৌঁছান। এরপর অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। অনুষ্ঠানটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি