মাত্র ৪ পানীয়েই মিলবে লিভার পরিষ্কারের উপকারিতা

ছবি: ইন্টারনেট
অনেক ক্ষেত্রেই উপসর্গ ছাড়াই লিভারে ফ্যাট জমতে শুরু করে। বর্তমানে অনেক কমবয়সীই এই সমস্যায় ভুগছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং ভ্রান্ত খাদ্যাভ্যাস—এই কারণগুলোর ফলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ছে। এই সমস্যা এড়াতে হলে খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার পাশাপাশি প্রতিদিনের খাবারে দানাশস্য, শাকসবজি ও ফলমূল রাখতে হবে।
তবে শুধু খাবার নয়, কিছু বিশেষ পানীয়ও আছে যা ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এসব পানীয় লিভার থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং চর্বি গলিয়ে লিভারকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
চলুন, জেনে নিই এমন কয়েকটি উপকারী পানীয় সম্পর্কে—
হলুদ ও আদার চা
আদা আর হলুদ দুটোই লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। হলুদে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান এবং আদায় আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এসব উপাদান লিভারের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এজন্য দু’কাপ পানি নিন। কাঁচা হলুদ ও আদা থেঁতো করে পানির সঙ্গে ফুটিয়ে নিন। এরপরে চা ছেঁকে পান করুন। এতে পুদিনা পাতা, গোলমরিচের গুঁড়ো ও মধুও মেশাতে পারেন। এই পানীয় লিভারের জন্য উপকারি।
লেবু-পানি
দিনের শুরুটা করুন লেবু-গরম পানি খেয়ে। ঈষদুষ্ণ পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরে জমে থাকা সব টক্সিন বেরিয়ে যায়। এতে যেমন ওজন কমে, তেমনই লিভারের সমস্যা দূরে থাকে। লেবুর রসে আছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি যা দেহে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং লিভারকে সুস্থ রাখে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবুর রস মেশানো পানি পান করুন।
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে যেসব অসুখ বেশি হয় শিশুদের
গ্রিন টি
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন। এই পানীয়টি লিভারের সমস্যাও দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। গ্রিন টিতে আছে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। দিনে ৩-৪ কাপ গ্রিন টি পান করুন।
ব্ল্যাক কফি
অনেকেই কফিপ্রেমী। তবে এই কফি খেতে হবে দুধ-চিনি ছাড়া। তাহলেই মিলবে উপকার। কফিতে আছে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা লিভারের প্রদাহ কমায় এবং দেহের ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় দুর্দান্ত কাজ করে ব্ল্যাক কফি। দিনে ২-৩ কাপ ব্ল্যাক কফি খান। ধীরে ধীরে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি