রাহুল গান্ধীর গায়ে বোমা বেঁধে অন্য দেশে পাঠিয়ে দেয়া উচিত: বিজেপি নেত্রী

ভারতীয় রাজনীতিতে একে অপরের প্রতি আক্রমণের সময় শালীনতার ন্যূনতম সীমাটিও অতিক্রম করে ফেলেন নেতা বা নেত্রীরা, এমনটা প্রায়শই দেখা যায়। কিন্তু, সোমবার বিজেপি নেত্রী পঙ্কজা মুন্ডে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করার সময় যে কথা বললেন, তা বোধহয় অতিক্রম করে গেল শালীনতার সমস্ত সীমা।
সংবাদসংস্থা এএনআই পঙ্কজা মুন্ডেকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “আমাদের সেনাদের ওপর কাপুরুষোচিত আক্রমণের পরই আমরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিলাম। কয়েকজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ঠিক কীসের জন্য, এছাড়া, এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক আদৌ হয়েছিল কিনা, তারও প্রমাণ চেয়েছেন তারা। আমি বলছি, আমি মনে করি, আমাদের উচিত ছিল, রাহুল গান্ধীর গায়ে বোমা বেঁধে তাঁকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দেয়া। তাহলে ওরা বুঝতে পারত।” এনডিটিভি।
জলনা লোকসভা কেন্দ্রের একটি জনসভায় দাঁড়িয়ে একথা বললেন দেবেন্দ্র ফডনবিশের মন্ত্রিসভার সদস্য পঙ্কজা মুন্ডে ।
তার এই মন্তব্যের ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রবল বিতর্কের জন্ম হয়েছে। এমন একটি সময়ে এই বিতর্ক সৃষ্টি হলো, যখন, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের ব্যাপারে বিরোধিতার জন্য রীতিমত ধমক দিয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী বিধি যাতে কোনোভাবে লঙ্ঘন না হয়, তার দিকেও কড়া দৃষ্টি রেখেছে তারা।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে সেনাশিবিরে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জঙ্গিহানায় ১৯ জন সেনা প্রাণ হারানোর ১১ দিন পরই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে গিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে বহু জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে এসেছিল ভারত।
অন্যদিকে, সেনার নাম করে জনসভা থেকে ভোট চাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও জবাব চাইল নির্বাচন কমিশন।
মহারাষ্ট্রের লাটুরের ওই জনসভা থেকে মোদি বলেন, “আমি এবারের যারা প্রথম ভোটার, তাদের প্রশ্ন করছি, আপনাদের প্রথম ভোটটি কি উৎসর্গীকৃত হতে পারে পুলওয়ামা শহিদ হওয়া সেনাদের প্রতি? বালাকোটে যে বীর জওয়ানরা এয়ার স্ট্রাইক করলেন, আপনারা কি তাদের কথা মনে রেখে নিজেদের প্রথম ভোটটি দিতে পারেন?”
বিরোধীরা যে সর্বদাই ভারতীয় সেনাকে ‘ছোট’ করতে উঠেপড়ে লাগে, সেই অভিযোগও বহুবার করেছে বিজেপি। এই বছরের শুরুতেই সংবাদসংস্থা এএনআইকে তার দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সেনাবাহিনীর নামে যারা এই ধরনের অভিযোগ করেন, তারা আসলে সেনাবাহিনীকেই দুর্বল করে দেয়ার চেষ্টা করেন। আমার ওপর যে যে ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু আমার দেশ যেন ভালো থাকে। দেশের সেবা যেন আমি করতে পারি। কী হবে বা না হবে, তা জানি না। কেবল জানি, দেশের নিরাপত্তার জন্য আমি মাথা উঁচু করে লড়াইটা চালিয়ে যাব।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ