ফিলিস্তিন স্বীকৃতির দাবিতে ট্রাম্পের ভাষণে হট্টগোল
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেওয়ার সময় বিরোধী সংসদ সদস্যদের প্রতিবাদে হট্টগোলের মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবারের এই ঘটনার ফলে কিছু সময়ের জন্য তার বক্তব্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হন তিনি।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং কাতারভিত্তিক আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ভাষণের সময় বিরোধীদলীয় এক সংসদ সদস্য ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ লেখা একটি কাগজ উঁচিয়ে প্রতিবাদ জানান। এর ফলে পার্লামেন্টে উত্তেজনা তৈরি হয়।
নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সংসদ সদস্যদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং প্রতিবাদকারী সদস্যকে হলরুম থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত দুই সংসদ সদস্যকে সরিয়ে নেয়।
এর মধ্যে একজন সংসদ সদস্যের নাম আয়মান ওদেহ এবং আরেকজনের নাম ওফের কাসিফ।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, আয়মান ওদেহ একটি ব্যানার উঁচিয়ে ট্রাম্পকে ফিলিস্তিন স্বীকৃতির আহ্বান জানান। পরে নিরাপত্তা বাহিনী তার ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে পার্লামেন্ট কক্ষ থেকে সরিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: ১৯৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল
হট্টগোলের পর ট্রাম্প কিছুটা হাস্যরস প্রকাশ করে বলেন, “ওটা খুবই কার্যকর ব্যবস্থা,” এবং পুনরায় তার বক্তব্য শুরু করেন। ট্রাম্প নেসেটে বলেন, আজ মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন ‘ঐতিহাসিক ভোর’ শুরু হয়েছে।
তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানান এবং তাকে ‘অসাধারণ সাহসী একজন মানুষ’ হিসেবে অভিহিত করেন। এ সময় পার্লামেন্টে উপস্থিত অনেক সদস্য নেতানিয়াহুর ডাকনাম ‘বিবি’ বলে স্লোগান দেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে মধ্যস্থতার জন্য আরব বিশ্বের দেশগুলোর ভূমিকাও প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এক ‘অবিশ্বাস্য সাফল্য’। ট্রাম্প আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, বন্দুক এখন থেমে গেছে এবং অঞ্চলটি শান্তিতে রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ দুই বছরের বন্দিদশার পর ২০ জন জিম্মি তাদের পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন এবং আরও ২৮ জন চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, এটি শুধুমাত্র ইসরায়েলের নয়, সমগ্র অঞ্চলের জন্যও একটি স্বর্ণযুগের সূচনা। এই শান্তি যেন স্থায়ী হয়।
সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








