News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ১৪ আগস্ট ২০২৫

ইতালিতে নৌকাডুবিতে ২৬ অভিবাসীর মৃত্যু

ইতালিতে নৌকাডুবিতে ২৬ অভিবাসীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ইতালির দক্ষিণ উপকূলের লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৬ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ। 

ইতালীয় কোস্টগার্ড, জাতিসংঘের সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে—এর মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। তাদের লাম্পেদুসার একটি অভিবাসী কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আইওএম মুখপাত্র ফ্লাভিও দি জিয়াকোমো জানান, দুটি নৌকায় প্রায় ৯৫ জন ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। এর মানে, অন্তত ৩৫ জন এখনও নিখোঁজ বা মৃত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নৌকাগুলো লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। যাত্রাপথে একটি নৌকায় পানি ঢুকে পড়লে যাত্রীদের অপর একটি ফাইবারগ্লাস নৌকায় স্থানান্তর করা হয়। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের ফলে সেই নৌকাটি ভারসাম্য হারিয়ে ডুবে যায়।

আরও পড়ুন: মেঘালয় সীমান্তে বিএসএফের ‘অপারেশন অ্যালার্ট’

লাম্পেদুসার মেয়র ফিলিপ্পো মাননিনো জানান, দুর্ঘটনাটি ভোরের দিকে দ্বীপের প্রায় ১৪ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে। ইতালির রেড ক্রস জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতদের বেশিরভাগের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এক বিবৃতিতে বলেন, আজকের এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রমাণ করে যে, কেবল উদ্ধার অভিযান যথেষ্ট নয়—মূল সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা প্রয়োজন। 

তিনি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৬৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। 
আইওএমের হিসাব বলছে, গত এক দশকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন—এর অধিকাংশই লিবিয়া ও তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ছোট নৌকায় যাত্রা করেছিলেন।

উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, সাগরে প্রতিকূল আবহাওয়া, অতিরিক্ত যাত্রী, এবং নৌকার নিম্নমানই অধিকাংশ দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়