ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত করেছেন দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত। 

বুধবার (২৮ মে) জারি করা এক আদেশে আদালত বলেছেন, ট্রাম্প তার ক্ষমতার অতিরিক্ত ব্যবহার করেছেন এবং শুল্কারোপের মাধ্যমে কংগ্রেসের বিশেষ অনুমোদন না নিয়ে বাণিজ্য নীতি পরিচালনা করেছেন, যা সংবিধানের পরিপন্থী।

আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল উল্লেখ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান কংগ্রেসকে বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের একমাত্র বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করেছে এবং প্রেসিডেন্টের জরুরি ক্ষমতার মাধ্যমে এই বিধিনিষেধ অমান্য করা যায় না। এ আদেশ দুইটি পৃথক মামলার প্রেক্ষিতে দেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে একটি লিবার্টি জাস্টিস সেন্টারের, যা পাঁচটি আমদানিকারক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দায়ের করা হয়। অন্যটি ১৩টি অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে। 

আরও পড়ুন: আগুন নিয়ে খেলছেন পুতিন: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল নোটিশ জমা দিয়েছে। তবে, হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। 

যদিও ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আদালতের রায়কে ‘বিচার ব্যবস্থায় অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

মধ্যে গত ২ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী প্রায় সব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। এই পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। ৯০ দিনের মধ্যে বাকি দেশগুলোর ওপর শুল্ক স্থগিত রেখে শুধু চীনের বিরুদ্ধে এটি বজায় রাখা হয়। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বিভিন্ন দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইনি দ্বন্দ্ব ও শুল্ক নীতি যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে এ ধরনের নীতিগত অস্পষ্টতা দীর্ঘমেয়াদে বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলবে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন আপিলের মাধ্যমে নিজের পদক্ষেপ রক্ষা করতে উদ্যোগী হওয়ায় বিষয়টি আরও দীর্ঘস্থায়ী বিতর্কের সম্ভাবনা রয়েছে।