শরীরে ক্ষত আর বুকে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা
ছবি: সংগৃহীত
দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে কমপক্ষে ৬৭ হাজার ২১১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৬১ জন আহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে এই যুদ্ধের বিরতি হলেও হতাশা, ক্ষত, দুঃখের বিশাল পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ফিলিস্তিনিরা।
গাজা উপত্যকায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসা ফিলিস্তিনিরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন যে, তারা তাদের এই দীর্ঘ যাত্রার সময় মিশ্র আবেগ অনুভব করছেন।
গাজা উপত্যকার দক্ষিণের খান ইউনিসের ৩২ বছর বয়সী আমির আবু ইয়াদেহ বলেন, আমরা এই পরিস্থিতির জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ক্ষত ও দুঃখ নিয়ে আমাদের বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
নোবেল শান্তি পুরস্কার ট্রাম্পকে উৎসর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা
৩৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুর্তজা বলেন, তিনি প্রার্থনা করছেন যে তিনি যখন গাজা শহরে ফিরে যাবেন তখন তিনি দেখবেন যে, তার বাড়িটি ধ্বংস হয়নি। কিন্তু এমনটা আসলে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। গাজাকে এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদার সেনারা।
মোহাম্মদ মুর্তজা বলেন, আমরা কেবল আশা করি যুদ্ধ চিরতরে শেষ হবে এবং আমাদের আর কখনো পালাতে হবে না। সংঘাতের শুরুতে বাস্তুচ্যুত হওয়া ৫৩ বছর বয়সী আরিজ আবু সাদায়েহ বলেন, তিনি অবশেষে বাড়ি ফিরছেন।
তিনি বলেন, আমি যুদ্ধবিরতি এবং শান্তিতে খুশি। তবে এই যুদ্ধে আমি আমার এক ছেলে এবং এক মেয়েকে হারিয়েছি যা আমাকে খুব কষ্ট ও যন্ত্রণা দিচ্ছে। যুদ্ধবিরতি এখানে আনন্দ বয়ে এনেছে এবং আমরা ঘরে ফিরতে পারছি।
এদিকে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা জিম্মিরা সোমবার থেকে মুক্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে এসব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২০ জন জিম্মি জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং ২৮ জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








