News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:১৫, ২৭ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০৭:৪২, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

গুজরাটে বিক্ষোভ সহিংসতায় ৮ জন নিহত, কারফিউ জারি

গুজরাটে বিক্ষোভ সহিংসতায় ৮ জন নিহত, কারফিউ জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটে প্যাটেল সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সম্প্রদায়টি আন্দোলনে নামলে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

আহমেদাবাদে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ২২ বছর বয়সী হার্দিক প্যাটেল। নিম্ন বর্ণের কয়েকটি গোষ্ঠীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হলে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি সহিংস রূপ ধারণ করে।

সহিংসতার আশঙ্কায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের ডাকে গুজরাটে বুধবার সকাল থেকে চলছে অবরোধ। এতে গুজরাটের মূল শহর আহমেদাবাদ কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, গুজরাটে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ প্যাটেল সম্প্রদায়ের। এই সম্প্রদায়ের লোকজন হীরকের ব্যবসা বা কৃষিকাজে জড়িত। অর্থনৈতিকভাবে তারা যথেষ্ট প্রভাবশালী। বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য, অন্যান্য অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর (ওবিসি) জন্য কোটার বিধান রাখায় প্যাটেল সম্প্রদায়ের লোকজনকে অসুবিধায় পড়তে হয়।

কলেজে ভর্তি বা ছোট ও মাঝারি মানের শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে এই প্রথার সুযোগ না পাওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে, শিক্ষা ও চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারাও কোটার দাবি জানায় তারা।

মঙ্গলবার প্যাটেল সম্প্রদায়ের কয়েক লাখ সদস্য গুজরাটের রাজ্যের প্রধান শহর আহমেদাবাদে জড়ো হয়। সেখানে হার্দিক প্যাটেল (২২) অনশনে বসেন। রাতে তাঁকে অনশন মঞ্চ থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ওপর চলে পুলিশের নির্বিচার লাঠিপেটা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। চলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। পরে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

বাণিজ্যে স্নাতক হার্দিক আহমেদাবাদের এক গ্রামে তাঁর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবাকে সহায়তা করেন। তিনি নিজের সম্প্রদায়ভিত্তিক পতিদার আনামত আন্দোলন সমিতির (পিএএএস) আহ্বায়ক।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়