রাশিয়ার সিরিয়াল কিলার ও নরখাদক গ্রানি-রিপার
ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত সিরিয়াল কিলার আছে যাদের কর্মকাণ্ডের কথা শুনলে ভয়ে শিহরিত হতে হয়। তবে, রাশিয়ার সিরিয়াল কিলার গ্রানি-রিপারের মত সিরিয়াল কিলার সম্ভবত ইতিহাসে আর নেই। কারন রাশিয়ার পুলিশের ধারনা গ্রানি-রিপার রিপার একজন নরখাদকও! তামারা স্যামসোনোভা ওরফে গ্রানি-রিপার নামের ৬৮বছর বয়সী ওই নারী সিরিয়াল কিলার ও নরখাদককে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্র: ডেইলি মেইল।
রাশান কর্তৃপক্ষ তামারা স্যামসোনোভা ওরফে গ্রানি-রিপারকে প্রথমে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে। পুলিশ পরে বুঝতে পারে গ্রানি-রিপার কোন সাধারন খুনি নন। তিনি একজন নরখাদক/মানুষখেকো সিরিয়াল কিলার। সব চেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল, সে প্রতিটি খুনের সূক্ষ্ম বর্ণনা লিখে রেখেছে তার গোপন ডাইরিতে।
গ্রানি-রিপার ছিলেন একজন সাবেক এ হোটেল কর্মী। অনেক আগেই কাজ ছেড়েছিলেন। বাস করতেন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে। সম্প্রতি এক রাতে তিনি একটা প্লাস্টিক ব্যাগে করে কিছু একটা নিয়ে যাচ্ছিলেন বাসার বাইরে। সে দৃশ্যই ধরা পরে তার বাড়ির সামনে থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরায়। কিন্তু পুলিশ বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখে। কারন প্লাস্টিক ব্যাগটি দেখে তাদের মনে হয়েছিল তাতে মানব শরীর আছে। রিপারকে গ্রেফতার করা হয়। বাসা তল্লাসি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে পরে তার গোপন ডাইরি। তার কাছে কালোযাদু সহ জ্যোতিষবিদ্যারও নানা বই ছিল।
সে ডাইরির বর্ণনা আর রিপারের স্বীকারোক্তি থেকে যে তথ্য মেলে তাতে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, সব মিলে ১১টি খুন করেছে সে। প্রতিটি খুনের পর মৃতদের মস্তিস্ক, হাত, পা কেটে দেহ থেকে আলাদা করে ছড়িয়ে দিত শহরের বিভিন্ন স্থানে। রাশিয়ার পুলিশের ধরনা সে তাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গও খেয়েছে। কারন মৃতদেহ গুলোর মস্তিষ্ক এবং নানা অঙ্গ পাওয়া যায়নি কখনোই। তবে তিনি আদালতে তার অপরাধ স্বীকার করে বলেছেন, আমি অপরাধী তাই আমার শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু কেন তিনি এত গুলো খুন করেছেন এবং তাদের মাথা গুলো কোথায় রেখেছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানাননি।
একটি খুনের বর্ণনা লিখতে গিয়ে রিপার লিখেছে, "আমি আমার ভাড়াটেকে খুন করেছি। টয়লেটে নিয়ে ছুরি দিয়ে দুই টুকরো করেছি তাকে। তারপর প্লাস্টিক ব্যাগে করে শহরের দুই প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়েছি।"
সবশেষ তিনি খুনটি করেছেন তার বান্ধবী উলনোভাকে। প্রথমে তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। তারপর হ্যাক্সো ব্লেড দিয়ে কেটে টুকরো করা হয়। রিপার জানিয়েছে সে সময় উলনোভা জীবিত ছিল। ২০০৫ থেকে রিপারের স্বামী নিখোঁজ, এখন ধারনা করা হচ্ছে তিনিই তার স্বামীকে খুন করে খেয়ে ফেলেছেন!
নিউজবাংলাদেশ.কম/আরবিএস/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম








