বুয়েটের নিহত শিক্ষার্থী করতেন তাবলীগ জামায়াত

বুয়েটের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে শিক্ষার্থীর নাম আবরার ফাহাদ। নিহত ফাহাদ তাবলীগ জামায়াতের অনুসারী ছিল। কিন্তু শিবির সন্দেহে তাকে মারধর করা হয় বলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
হাসিবুর রহমান নামের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ১৫তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি তাবলীগ জামায়াতের কর্মী। নিহত আবরার ফাহাদ আমার সঙ্গে কয়েকবার তাবলীগ জামাতে গিয়েছে। সে খুব ভদ্র ছেলে এবং মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। পড়ালেখা ছাড়া আর কিছুই বুঝতো না।
সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মৃত অবস্থায় আবরারকে উদ্ধার করে পুলিশ।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাতে বুয়েট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হল থেকে ওই ছাত্রর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাসুক এলাহী বলেন, রাত ৩টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে। তিনি শেরেবাংলা ছাত্র হোস্টেলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। কিন্তু ২০১১ নম্বর রুমে তাকে মারধর করা হয়। মেরে লাশ হলের সিড়ির নিচে রাখা হয়। সিঁড়ি থেকে সরিয়ে পরে লাশ হল এর ক্যান্টিনে রাখা হয়। সেখান থেকে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ এসপি