নোয়াখালীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫
ছবি: নিউজবাংলাদেশ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন রক্তাক্ত আহতসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে চরএলাহী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন স্থানীয় যুবদল নেতা মো. রুবেল (২৮), স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মো. বারেক (৩০), যুবদল কর্মী মো. সুমন (৩৪), খাইরি বেগম (৩৮) ও চরএলাহী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম ইমন (২৭)। এর মধ্যে ইমনকে গুরুতর অবস্থায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন তোতা হত্যাকাণ্ড এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন আয়োজন করে বিএনপির একটি অংশ। অন্যদিকে একই সময়ে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে অপর গ্রুপও কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে সব ধরনের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে সাহাব উদ্দিনপন্থী কয়েকজন বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। এ সময় ক্ষুব্ধ লোকজন চরএলাহী বাজার-চাপরাশিরহাট সড়ক অবরোধ করে।
আরও পড়ুন: প্রাইভেটকার উল্টে ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৩
বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন তোতা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী সরকারের পতনের পর গত বছরের ২৭ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে তার বাবাকে হত্যা করা হয়। এরপর জামায়াতপন্থী কিছু বিএনপি নেতার যোগসাজশে তাদের পরিবারের ওপর একাধিক হামলা ও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসবের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের সময় প্রতিপক্ষ হামলা চালায় বলে তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ মেম্বারের অনুসারী মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, তোতা হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে তার ছেলেরা বিএনপির ১৬ জন নেতাকর্মীকে হত্যা মামলার আসামি বানিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। ঘাট দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস বলে তিনি অভিযোগ করেন। তার দাবি, বুধবার কোনো কর্মসূচি ছিল না, বরং প্রতিপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে।
এসময় তাদের তিন কর্মী ওষুধ কিনে ফেরার পথে তোতা অনুসারীদের হামলার শিকার হন। এতে ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম ইমন রক্তাক্ত আহত হন বলে অভিযোগ ওঠে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলাম বলেন, ঘাট নিয়ে তোতা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আগে রাজ্জাক চেয়ারম্যান ঘাট নিয়ন্ত্রণ করতেন, এখন তোতার ছেলেরা করছে। বিএনপির দুই নেতা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








