News Bangladesh

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:০২, ২৭ জুলাই ২০২৫
আপডেট: ১৯:৫৯, ২৭ জুলাই ২০২৫

ভূঞাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ 

ভূঞাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ 

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আল-কারীম দারুল উলুম আজাদী মাদ্রাসার ১১ বছর বয়সী এক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে ইতোমধ্যে শিশুটির দেয়া মৌখিক বিবরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবি জানান।

তবে অভিযোগ উঠেছে, সে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওয়ালী উল্লাহকে চাকরিচূত করে শালিশি বৈঠকের মাধ্যমে ভক্তভোগী পরিবারকে আপোশ মিমাংসা করতে চাপ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। একইসঙ্গে খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে সাংবাকি সোহেল তালুকদারকেও ভয়-ভীতি দেখিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে চাপ দেওয়া হয় বলে লাইভে এসে অভিযোগ করেছেন তিনি। একারণে সাংবাদিক সোহেল ও  ভুক্তভোগী পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

ভূঞাপুর পৌরসভার সন্নিকটে ২০২১ সালে আল-কারীম দারুল উলুম আজাদী মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ্ এই প্রতিষ্ঠানের নাজেরা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ্ ভয়ে পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রের ভাষ্যমতে, গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে মাদ্রাসায় ঘুমানোর সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ্ তাকে কাজের কথা বলে নিজের কক্ষে ডেকে নেয়। সেখানে প্রথমে তাকে পা ও শরীর মালিশ করতে বাধ্য করা হয়। এরপর শিক্ষক তাকে তার যৌনাঙ্গ মালিশ করতে বললে সে তা করতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে ঐ শিক্ষক ছাত্রটির সাথে যৌন নিপীড়নমূলক আচরণ করেন। 

ভুক্তভোগী আরও জানায়, এর দুই দিন পর, বৃহস্পতিবার রাতে, শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ্ আবারও তাকে জোর করে ডেকে নিয়ে যান এবং একই ধরনের কাজ করানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে সে চিৎকার করলে শিক্ষক তাকে ছেড়ে দেয়।

ভুক্তভোগীর পরিবারকে ধর্মের দোহাই দিয়ে মামলা না করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী ছাত্রের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। সেই ধর্মীয় শিক্ষকই যদি এমন ঘৃণ্য কাজ করে, তাহলে তারা কীভাবে ধর্মের কথা বলে? আজ আমার ছেলের সাথে যা হয়েছে, কাল অন্য কারো ছেলের সাথেও তা হতে পারে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

আরও পড়ুন: ভুল ট্রেনে উঠে টাঙ্গাইলে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী, গ্রেপ্তার ৩

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসাটি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভূঞাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মনোয়ার হোসেন পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম রেজাউল করিম জানান, এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়