News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ৩১ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ০১:০১, ২০ জানুয়ারি ২০২০

বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি: জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী

বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি: জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলায় ভাদ্র মাসের এই অকাল বন্যায় জেলার বন্যা কবলিত ৬টি উপজেলায় শাকসবজি, মসলা ও ডাল জাতীয় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ কমে যাওযায় আকস্মিক মূল্য বেড়ে গেছে।

এছাড়া নদ-নদী ও খাল-বিল পানিতে উপচে পড়ায় এখন মাছ ধরা পড়ছে না বলে বাজারে মাছের সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। ফলে এই মৌসুম সময়েও মাছ উচ্চ মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে।

সোমবার বিকালে সরেজমিনে বিভিন্ন জেলা শহরের প্রধান প্রধান বাজার ও গ্রামের বড় বড় হাট-বাজার গুলোতে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে পিঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুনসহ সকল শাকসবজির মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর মধ্যে বর্তমানে পিঁয়াজ প্রতিকেজি ৮০ টাকা, মরিচ ১৬০, বেগুন ৪৮, পটল ৪০, কচু ২০, পেঁপে ২৪, ঝিঙা ও করলা ৪৮, দেশি করলা ৮০, বরবটি ৪৮, পাতাকপি ৬০, আদা ১২০, রসুন ৮০, সুট মরিচ ১০০, আলু ২০, শাকসবজি ২৮।

শাকসবজি ও মসলা জাতীয় ফসলের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও চালের দামের কোনো তারতম্য হয়নি। এখনও গাইবান্ধা জেলার হাট-বাজারগুলোতে চিকন চাল ৩০ টাকা, মোটা চাল ২৮, আতপ চাল ৬৫ টাকা।

অবিরাম বৃষ্টিপাতে গাইবান্ধার অন্যান্য নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ১০ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার বন্যা কবলিত গোবিন্দগঞ্জ ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা দীর্ঘদিন পানিবন্দি থাকায় মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়িতে নদী ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রোপা আমন চারা ও সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকরা পড়েছে চরম বিপাকে। ক্ষেত থেকে সম্পূর্ণ পানি সরে না যাওয়ায় তারা নতুন করে আমন চারা বা সবজি চাষ করতে পারছে না। বন্যা দীর্ঘায়িত হলে শাকসবজি ও রোপা আমন ধান উৎপাদন বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া মাছ চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়