News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ৩১ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ১০:২০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঘুষের ফান্ড গঠন: বরিশাল পুলিশের কমিশনার ও ডিসি প্রত্যাহার

ঘুষের ফান্ড গঠন: বরিশাল পুলিশের কমিশনার ও ডিসি প্রত্যাহার

বরিশাল: বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী ও উপপুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার) শোয়েব আহম্মেদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব আ শ ম ইমদাদুদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেছে। ঘুষ কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কমিশনার শৈবাল কান্তির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সদর দপ্তরের লুৎফর রহমান মন্ডল।

শৈবাল কান্তি চৌধুরীকে সদর দপ্তরে টিআর বিভাগে (ডিআইজির চলতি দায়িত্ব) দেওয়া হয়েছে। আর শোয়েব আহম্মেদকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সুপার পদের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে।

উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে আসছেন পিবিআইর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান খান।

এক বছরের কম সময়ের মধ্যে শৈবাল কান্তির পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিদায়টাকে শাস্তিমূলক হিসেবে দেখছেন বরিশালবাসী।

মহানগর পুলিশের পদোন্নতি পাওয়াদের পদায়নের জন্য জনবলের কোটা বাড়ানোর অনুমতির জন্য ‘ঘুষের তহবিল’ সংগ্রহের অভিযোগে জুলাই মাসের শুরুতে উপপুলিশ কমিশনার মো. জিল্লুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এছাড়া ঘুষের তহবিল সংগ্রহের জন্য কমিটি গঠন করায় জুন মাসের শেষের দিকে ১০ পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্তকৃতরা হলো-সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আনিসুজ্জমান, মো. মনির হোসেন ও আবু হানিফ, নায়েক কবির হোসেন, কনস্টেবল শহীদুল ইসলাম, বাবুল হালদার, আব্বাস উদ্দিন, আরিফুর রহমান, তাপস কুমার মন্ডল ও দোলন বড়াল। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

একইভাবে বিভাগীয় মামলার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন শৈবাল কান্তি চৌধুরী ও শোয়েব আহম্মেদ।

নগরীর ইতিহাসে এই প্রথম শৈবাল কান্তি পুলিশ কমিশনার হিসেবে ঘুষ ফান্ড তৈরি, জুয়া-যাত্রা, নগ্ন নৃত্য উসকে দিয়ে লাভবান হবার অভিযোগ সবার মুখে মুখে ছিল। সব সভ্যতা পায়ে দলে ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হাউজি জুয়া ঘরে ঘরে পাঠিয়েছিলেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গত নভেম্বরে মহানগর পুলিশের ৮০০ সদস্য পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশ নেয়।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় পদোন্নতি তালিকায় নাম উঠে ৩৩২ সদস্যর। এর মধ্যে কনস্টেবল থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৩০ সদস্য উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু মহানগর পুলিশ পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় তাদের পদায়নের জন্য পদ শুন্য হয়নি। তাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পদোন্নতির তালিকায় নাম থাকলেও ২৩০ সদস্য কনস্টেবল পদে থাকতে বাধ্য হয়।  

তাই মহানগর পুলিশের জনবল বাড়ানোর সদর দপ্তরে চাপা পড়ে থাকা প্রস্তাবনা ফাইল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ও তা অনুমোদনের জন্য ঘুষ দেওয়ার তহবিল গঠন করা হয়।

বরখাস্ত হওয়া ১০ সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটিতে এএসআই থেকে এসআই, নায়েক থেকে এএসআই এবং কনস্টেবল থেকে নায়েক পদে পদোন্নতির জন্য উত্তীর্ণ হওয়া ২৩০ সদস্যের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। অবৈধভাবে গঠিত এ তহবিলে মোট ৭৭ লাখ টাকা জমা হয়।

পরে ওই টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকে এএসআই আনিসুজ্জামান, নায়েক কবির হোসেন ও কনস্টেবল বাবুল হালদারের নামের হিসাব নম্বরে তা জমা করা হয়।

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়