বিলুপ্ত হচ্ছে বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশন
ঢাকা: বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশন বিলুপ্ত করতে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৫’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবর প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদে জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন ও জাতীয় সংসদে পাসের পর এটি কার্যকর হলে বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশন বিলুপ্ত হবে। তবে বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের কোনো কর্তকর্তা-কর্মচারীর চাকরি যাবে না। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারী হবেন তারা। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে প্রচলিত আইনে সমাধান করা হবে।
প্রস্তাবিত নতুন আইন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ খসড়া করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী তার উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের কাছে পাঠিয়েছিলেন। খসড়াটিকে ভিত্তি ধরে তা পরিমার্জন করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিসভা আজ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হবে। এখানে ১৭ সদস্যের একটি গভর্নিং বোর্ড থাকবে। বোর্ডের প্রধান বা চেয়ারম্যান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া এই বোর্ডে কৃষি, শিল্প, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রীসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকবেন। আর ছয়জন বিশেষজ্ঞ সদস্য থাকবেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, ১৯৮৯ সালে বিনিয়োগ বোর্ড আইন দ্বারা গঠিত হয়েছে। এর লক্ষ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বিনিয়োগে উৎসাহিত করা। বোর্ডের কাজ-নিবন্ধন, অনুমোদন, সুযোগ-সুবিধা প্রদান ইত্যাদি বিষয়।
নবগঠিত বোর্ডের একটি পরিচালনা পর্ষদ রাখা হয়েছে। এর চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী। আর নির্বাহী প্রধান নির্বাহী চেয়ারম্যান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৯৯৩ সালে রেজুলেশন করে বেসরকারিকরণ আইনের মাধ্যমে প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড গঠন করা হয়। পরবর্তীকালে এটিকে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন করা হয়। প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের কাজ সরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে তা বিক্রি করে দেওয়া। ২০০০ সাল থেকে গত ১৫ বছরে প্রত্যাশিত মাত্রায় ফলাফল অর্জিত হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে ৫৮টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ করা হয়েছে। আর শেয়ার আপডেট করা হয়েছে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের। সরকারি প্রতিষ্ঠান লাভজনক হলে চালানো হবে। আর না হলে লাভবান কাজে অব্যবহৃত সম্পত্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। কারণ, বিক্রি করলে দাম পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশন মার্জ/এমালগেমেট করা। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছিলাম। প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানের জন্য এ কমিটি আইনের খসড়া করবে এবং প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রাম তৈরি করবে। কমিটি দুটি কাজই শেষ করেছে।
নিউিজবাংলাদেশে.কম/টিআইএস/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম








