অসৎ ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা নজরদারিতে
ঢাকা: অসৎ ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়েছে। তাদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এ জন্য শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনায় এ কমিটি অপারেশনও চালিয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা ছাড় পাবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এ সব কথা বলেন। অধিদফতটির কার্যালয় উদ্বোধন ও বার্ষিক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নজিবুর রহমান বলেন, গোয়েন্দাদের নজর অসৎ ব্যবসায়ীদের দিকে। তাদের সাবধান হয়ে যাওয়া উচিত। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোনো ব্যবসায়ী মালামাল আমদানি করবেন না। আপনারা আইনের আওতায় আসবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান যে রুটেই হোক না কেন, সব স্থানেই গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। আমরা চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ জন্য আমাদের একটি আইনও রয়েছে। যেটি ১৯৬৯ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে।
এসময় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে ঢাকায় যেভাবে আমাদের গোয়েন্দারা তৎপর, তেমনি চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর, রাজশাহীসহ সারাদেশেই আমাদের গোয়েন্দারা তৎপর রয়েছে। আমরা বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। চোরাচালানকারীরা যতই পথ পরিবর্তন করুক না কেন, গোয়েন্দাদের কঠোর নজরে পরবেই। স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় গ্রেফতার কেউই জামিন পাচ্ছেন না। আমরা সব সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। স্বর্ণ চোরাচালানকারীদের নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে গিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বার্ষিক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন এবং পরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনএইচ/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম








