অনবরত রক্তক্ষরণে মৃত্যুমুখে শিশু সাদমান
ঢাকা: সাদমানের বয়স মাত্র চার। ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশুটি এ বয়সেই বয়ে বেড়াচ্ছে মারাত্মক ‘রক্তক্ষরণ’ ব্যাধি। প্রতিদিন সাদমানের ছোট্ট শরীর থেকে কমে যাচ্ছে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। কমে যাচ্ছে রক্তচাপও। ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যাচ্ছে সাদমানের হৃদস্পন্দন। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে স্বজনরা এখন মরিয়া। এদিক ওদিক থেকে প্রতিনিয়ত রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়া হচ্ছে সাদমানকে। প্রাণান্তকর চেষ্টা করা হচ্ছে সাদমানকে বাঁচিয়ে রাখতে।
গত একসপ্তাহ ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন সাদমান। এর আগে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পরে ৩৬ ঘণ্টা রক্তপাত বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয় রক্তক্ষরণ। প্রয়োজনীয় নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও রক্তপাতের সঠিক কারণ বের করা যায়নি।
গত বুধবার সকালে তাকে বিএসএমএমইউ সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শফিকুল হকের অধীনে ভর্তি করা হয়। সাদমানের চিকিৎসায় ডা. শফিককে প্রধান করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমন্বয়ে ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
সাদমান সম্পর্কে ডা. শফিকুল হক জানান, ‘শিশুটির শরীর থেকে অনবরত রক্তপাত হচ্ছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। কি কারণে শরীরের কোন্ অংশ থেকে রক্তপাত হচ্ছে তা জানতে মেডিকেলবোর্ড সদস্যদের পরামর্শ মতো সাত থেকে আট ধরনের রক্ত পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে।’ বর্তমানে শিশুটি জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডা.শফিকুল হক জানান, মানবদেহে সাধারণত প্রতি ১০০ এমএল রক্তে ১০ গ্রাম হিমোগ্লোবিন থাকে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে সাদমানের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫ ও ১২ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম।
চট্টগ্রামের ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা আফজাল হোসেন অপু ও ঝুমুর দম্পত্তির একমাত্র সন্তান সাদমান। বাবা পেশায় একজন স্টেইন স্লাস ডিজাইনার ও ট্রেকার, মা গৃহবধূ। সাদমানের বাবা আফজাল অপু জানান, ‘এ পর্যন্ত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের দেওয়া ১২/১৩ ব্যাগ রক্তে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসার্থে তার লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়ে গেছে। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন আরো অনেক টাকা।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম








