News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ৯ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ১০:২১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সুন্দরবনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬ বনদস্যু নিহত

সুন্দরবনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬ বনদস্যু নিহত

খুলনা: সুন্দরবনের গভীরে মান্দারবাড়িয়া খালের উত্তরপাশে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ছয় বনদস্যু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) পাঁচ পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বাঘের তিনটি চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (০৯ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, শনিবার গভীর রাতে কয়রা উপজেলার জোড়শিং এলাকার জনৈক আব্দুল মজিদ গাজীকে (৫০) চরামুখা গ্রামের শফিকুল গাজীর বাড়ি থেকে কয়রা থানা পুলিশ আটক করে। মজিদ গাজী সুন্দরবনের বনদস্যু ইলিয়াস বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের কাছে তার অপর সদস্য ও তাদের অস্ত্র-শস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেন। রোববার সকালে কয়রা থানা পুলিশ তাকে নিয়ে সুন্দরবন এলাকায় অভিযান চালায়। তিনি সারাদিন পুলিশকে সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল, নদীতে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকেল পৌনে চারটার দিকে সুন্দরবনের গভীরে মান্দারবাড়িয়া খালের উত্তরপাশে পৌঁছালে সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা বনদস্যুরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পর শব্দ থেমে গেলে পুলিশ বনের মধ্যে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে পুলিশ ৬ বনদস্যুকে অচেতন ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। তাদের আস্তানা থেকে তিনটি বাঘের চামড়া, বিদেশি চারটি ১ নলা বন্দুক, ১টি বিদেশি পিস্তল, বন্দুকের তাজা গুলি ৭ রাউন্ড, পিস্তলের গুলি ২ রাউন্ডসহ বিভিন্ন অস্ত্রের ৫০ রাউন্ড গুলি ও বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত ৬ বনদস্যু থানায় আনার পথেই মারা যায়। নিহতরা হচ্ছেন- কয়রার চরামুখা গ্রামের জামাত গাজীর ছেলে বাপ্পী গাজী (২৫), সৈয়দ আলী সানার ছেলে সিদ্দীক সানা (৪৫), আব্দুল বারীর ছেলে রফিকুল গাজী (৩৮), আব্দুল গাজীর ছেলে মামুন গাজী (২৫), জোড় শিং গ্রামের জহুরুল গাজীর ছেলে আব্দুল মজিদ গাজী ও দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের আনসার গাজী (৫৫)।

আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার, উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান, উপপরিদর্শক আব্দুল আজিজ, সহকারী উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান ও অপর দুই কনস্টেবল। তারা স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, নিহতরা সুন্দরবনে মাছ শিকারের আড়ালে দস্যুতা ও বাঘ শিকার করত। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি অস্ত্র ও বাঘের তিনটি চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ/এজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়