News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:০৩, ১ আগস্ট ২০১৫
আপডেট: ১১:১৯, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভোলায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ৬০ গ্রাম, আহত ৭

ভোলায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ৬০ গ্রাম, আহত ৭

ভোলা: ভোলায় নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্ণিমার সৃষ্ট জোয়ারে পানির উচ্চতা বেড়ে তলিয়ে গেছে জেলা সদর, দৌলতখান, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার অন্তত ৬০টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। জোয়ারের পানির তোড়ে ভেসে আহত হয়েছে ৭ স্কুল শিক্ষার্থী। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- সালমা, ইমা, রিনা, সুমাইয়া, জাভেদ, শান্তা ও ফারজানা।

শনিবার দুপুর ২টার পর থেকে অস্বাভাবিক জোয়ারে এসব এলাকা প্লাবিত হয়। জোয়ারে বসতঘর, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা ৩/৪ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোয়ারের পানিতে সদরের রাজাপুর, কাচিয়া, দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর, মদনপুর, সৈয়দপুর, নেয়ামতপুর, মেদুয়া, মনপুরা উপজেলার দক্ষিন সাকুচিয়া, উত্তর সাকুচিয়া, মনপুরা, হাজিরহাট, চরফ্যাশন উপজেলার কুকরী-মুকরী, ঢালচর, জাহানপুর, মাদ্রাজ, কলমি, নজরুল নগর, মুজিব নগর, নুরাবাদ, চর মানিকা, হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

পানিতে ভাসছে ওই সব এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। ঘর বাড়ি ছেড়ে কেউ কেউ উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তবে নারী ও শিশুরা বেশী দুর্ভোগে পড়েছেন।

এদিকে, দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাস বইছে। এতে ননীর উপকূলবর্তি মানুষ চরম আতংকিত হয়ে পড়েছেন।

কুকরী-মুকরী ইউপি চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন জানান, “পুরো ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চর পাতিলা এলাকায় জোয়ারের পানিতে ডুবে ৭ স্কুল ছাত্রী আহত হয়েছে। তাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, “চরফ্যাশনে ১০টি ইউনিয়নে অন্তত ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৌলতখানের বাসিন্দা মহিন জানান, “সৈয়দপুরসহ উপজেলার বেশীরভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান জানান, পুরাতন বাঁধ ভেঙ্গে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বাধের বাইরের অংশগুলো ডুবে আছে।”

ভোলা পানি উন্নয়ঢন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম বলেন, “শনিবার নদীর পানি বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঁধের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়