মিরসরাইয়ে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ
মিরসরাই: মহাসড়ক থেকে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চলাচল বন্ধে গৃহীত সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলার সিএনজি চালকেরা।
তাদের অভিযোগ, উপজেলার পাঁচ লাখ জনগোষ্ঠীর পরিবহনের একমাত্র ভরসা সিএনজি অটোরিক্সা। এ অবস্থায় দুর্ঘটনারোধে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা পর থেকে হরতাল-অবরোধ অথবা বড় ধরনের কোনো আন্দোলনেও এতটা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়নি এখানকার জনগণ। সকালে ঘুম থেকে উঠে সিএনজি না পেয়ে স্কুল-শিক্ষার্থী কিংবা পেশাজীবীরা হতবাক হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে হাজার হাজার সিএনজি চালকের জীবিকা।
এদিকে উপজেলার আট হাজার সিএনজি চালক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে।
তাদের অভিযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশের বেশিরভাগ অংশে বাইপাস কোনো সড়ক নেই। অথচ ভৌগলিক কারণে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, থানা-প্রশাসন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, রেলস্টেশন, হাট-বাজার ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে মহাসড়কের পাশে।
সিএনজি চালকরা জানায়, বাইপাস বা বিকল্প সড়ক না থাকায় আঞ্চলিক বা গ্রামীণ সড়ক হয়ে মহাসড়কে পৌঁছে এরপর এসব প্রতিষ্ঠানে মানুষ যাতায়াত করে। এক্ষেত্রে সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় যাত্রীদের একমাত্র পরিবহন। এছাড়া গ্রামীণ সড়কগুলোতে বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তারা আরো জানায়, এ অবস্থায় বাইপাস সংযোগ সড়ক বা বিকল্প বাহনের ব্যবস্থা না করে মহাসড়কের সিএনজি অটোরিক্সা বন্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত কোনো কাজের কথা নয়।
বিক্ষোভ চলাকালে সিএনজি চালকরা সিএনজি বন্ধ করে মহাসড়কের ওপর সার দিয়ে রাখে। মহাসড়কে এ সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ চালক-মালিকদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রমিক নেতারা দাবি জানায়, যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী মহাসড়কে সিএনজি বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা হটকারি সিদ্ধান্ত। তারা এ সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রিসভা থেকে সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানায়। তাদের দাবি মানা না হলে তারা আরো কঠোর কর্মসূচি দেবে বলে এ সময় ঘোষণা দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন ও মিরসরাই থানার ওসি ইমতিয়াজ ভূঁইয়া নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “সরকারি ঘোষণা বাতিলের দাবিতে সিএনজি চালকরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








