ছিটমহলে হলুদ সন্ধ্যা ও বিয়ের আয়োজন
লালমনিরহাট: দীর্ঘ ৬৮ বছর পর বিয়ে তবে এ বিয়ে বাস্তব নয়, এ বিয়ে ছিটমহল বিজয়ের। সন্ধ্যায় ছিটমহলের বিজয় দিবসের আনন্দের সঙ্গে হলুদের সন্ধ্যা বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে। দিনটিকে চির স্মরণীয় রাখতে বিয়ের আয়োজন করে পাটগ্রাম বাঁশকাটা ছিটমহলে।
শুক্রবার (৩১জুলাই) বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বাঁশকাটা ১৩২ নম্বর ছিটমহলের মনছার আলীর ছেলে রতন মিয়ার গায়ে হলুদ সম্পন্ন হয়।
মনছার আলী নিউজবাংলাদেশকে জানান, দীর্ঘ ৬৮ বছর বন্দিদশার মুক্তির আনন্দকে চির স্মরণীয় করতে ছেলের বিয়ের আয়োজন করেছেন। নতুন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে ছেলে বিয়ে করবে বাংলাদেশি মেয়েকে। এটি যেন তার কাছে স্বপ্নের ব্যাপার।
বিয়ের জন্য কনে সেজে বসে আছেন পাটগ্রাম পৌর এলাকার নুর আলম ও রনজিনা খাতুনের তৃতীয় মেয়ে নুরফা বেগম। রাত ১২টায় ১ মিনিটে ছিটমহল বিনিময় হওয়ার পরপরেই বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়ে যাবে তাদের।
ওই ছিটমহলে বিজয়ের আনন্দের সাথে বাড়তি আনন্দ যুক্ত হয়েছে রতন নুরফার বিয়ে। ঢাক ঢোল পিটিয়ে সানাই বাজিয়ে চলছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। প্রতিবেশীরা নেচে গেয়ে উপভোগ করছেন বিয়ে ও বিজয়ের আনন্দ। এ দিনটি বর রতনের জন্য শুধু আনন্দই নয়, মহা আনন্দও বটে।
৩১ জুলাই ছিল তার ২৪তম জন্মদিন। বন্দিদশার ২৪টি বছরের কষ্টের অবসান ঘটছে ৩১ জুলাই মধ্যরাতেই। সে আনন্দের সাথে বাড়তি আনন্দ যুক্ত হচ্ছে ফুলসজ্জা।
বিয়ের বর রতন মিয়া নিউজবাংলাদেশকে জানান, ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে বিয়ে করবেন। সেই ইচ্ছে পূরণ করতে ছিটমহল বিনিময়ের দিনৰন ঠিক হলেই বিয়ের দিনক্ষণও ঠিক করেন তিনি। সেই ইচ্ছে থেকেই বিয়ের রেজিস্ট্রি করবেন শুক্রবার রাত ১২টায় ১ মিনিটে। সব মিলে ১৩১ ও ১৩২ নম্বর ছিটমহলের চলছে আনন্দের বন্যা। ছিটমহলেই নয় পাশের প্রতিবেশীরাও যুক্ত হয়েছেন তাদের এ মহা আনন্দে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম








