রাজধানীতে নিত্যপণ্যের চড়া দাম, স্বস্তি নেই মাছ-মাংসের বাজারে

ছবি: সংগৃহীত
মাছ-মাংস কিংবা সবজি- কোনোটিরই দাম এখন সাধারণ মানুষের নাগালে নেই। ভরা মৌসুমেও ইলিশের বাজারে আগুন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর মাটিকাটা বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও সোনালী, লেয়ার ও দেশি মুরগির দাম অনেক বেশি। সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, লেয়ার ৩২০–৩৪০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০–৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক ক্রেতা নুরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ব্রয়লার মুরগি তো আগে কম দামে পাওয়া যেত, এখন ১৬৫ টাকা কেজি। প্রতিদিনের বাজার সামলানোই কষ্টকর হয়ে গেছে।”
অন্য ক্রেতা হাবিবুল বাশার বলেন, “ব্রয়লার ছাড়া অন্য মুরগি কেনা কষ্টকর। পাকিস্তানি বা সোনালী মুরগির দামই পড়ে যায় ৩৬০–৩৭০ টাকা। গরু বা খাসির মাংস তো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।”
ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের হাতে দামের নিয়ন্ত্রণ নেই। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। খামারের খাবার ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০–৮০০ টাকা, আর ছাগল-খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের প্রথম ৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার
ইলিশ আকারভেদে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মৌসুম হলেও দাম কমেনি। ছোট ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়।
এক ক্রেতা বলেন, “ভরা মৌসুমেও যদি ইলিশ নাগালের বাইরে থাকে, স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে এটি কেনা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।”
অন্যদিকে মাছ ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, নদীতে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না। সরবরাহ কম থাকায় দামও কমানো যাচ্ছে না।
এছাড়া পাঙাস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০ টাকায়। রুই মাছ আকারভেদে ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি