কবর থেকে খাটিয়া সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মামা-ভাগনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
বরিশালের বাকেরগঞ্জে লাশের খাটিয়া বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মামা-ভাগনে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট রঘুনাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মামা-ভাগনের জানাজা শেষে স্ব স্ব পরিবারিক গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
জানা গেছে, আনিস হাওলাদার (৯০) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। সরোয়ার হাওলাদার (২২) বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর এলাকার বাসিন্দা আবুল হাওলাদারের ছেলে। বৃদ্ধ আনিস সরোয়ারের দাদা হন। সরোয়ারের মামা ফিরোজ সিকদার (২৮) একই এলাকার চান্দু সিকদারের ছেলে। তারা দুজনই ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
মৃতের স্বজনরা জানান, ‘বার্ধক্যজনিত কারণে গতকাল আনিস হাওলাদার মারা যান। বিষয়টি ফিরোজ ও সরোয়ারকে জানানো হয়। খবর পেয়ে দুজনই ঢাকা থেকে বাকেরগঞ্জে চলে আসেন। এরপর আসর নামাজ শেষে আনিস হাওলাদারের জানাজা সম্পন্ন হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু আত্মীয়স্বজনের আসতে দেরি হওয়ায় লাশ উঠানে রাখা হয়। দাফন করার জন্য পারিবারিক গোরস্থানে কবর খোঁড়া হয়। এর মধ্যে সন্ধ্যা হলে লাশ দাফনে সমস্যায় পড়তে হবে ভেবে সরোয়ার বিদ্যুতের তার দিয়ে কবরের ওপর একটি লাইট জ্বালিয়ে দেয়। ওই আলোতে মৃত আনিস হাওলাদারের লাশ কবরে নামানো হয়। নামানো শেষে স্টিলের খাটিয়া সরাতে যায় চার জন। এর মধ্যে ফিরোজ-সরোয়ারও ছিলেন। তারা বিদ্যুতায়িত হয়ে ছিটকে পড়েন। অপর দুজনের কিছু না হলেও তারা দুজন ঘটনাস্থলে পড়ে থাকেন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’
শামীম আরও জানান, আজ সকালে মামা-ভাগনে দুজনের জানাজা একসঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। এরপর সরোয়ার ও ফিরোজকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাদের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।’
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি