ডাকসু ভোটে ছাত্রদলের অভিযোগ, ভিসির অস্বীকৃতি

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে। ভোটগ্রহণ শেষে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে নির্বাচন ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন।
তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে “জামায়াতি” আখ্যা দিয়ে নির্বাচনকে “কারচুপির প্রহসন” বলে দাবি করেন।
মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিনেট ভবনে চলমান একটি মিটিংয়ে হঠাৎ প্রবেশ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এবং ঢাবি শাখার নেতারা।
তারা অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসের আটটি প্রবেশপথে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ব্যাপকভাবে জড়ো হয়েছেন, যা প্রশাসনের নীরবতায় সম্ভব হয়েছে।
ছাত্রদল নেতারা বলেন, এই নির্বাচন তো জামায়াত-শিবিরের নয়, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু তাদের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, এটা জামায়াতের নির্বাচন।
তারা আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এবং প্রশাসন শিবিরপন্থী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছে।
একপর্যায়ে ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস টেবিল চাপড়ে উপাচার্যকে “জামায়াতি প্রশাসন” বলে আখ্যায়িত করেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ছাত্রদলের অভিযোগের জবাবে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কখনো সম্পৃক্ত ছিলাম না। রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নেই। আমি সবাইকে নিয়ে চলতে চাই, এটাই আমার পথ।
তিনি জানান, বিকেল চারটার পর থেকে ক্যাম্পাসে জনসমাগমের তথ্য পাওয়ার পরই পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, সারা দিন গণমাধ্যমের সদস্যরা বিভিন্ন কেন্দ্রে ছিলেন। কোথাও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন ভোট গণনার চিত্র বাইরে দেখানো হবে। সুতরাং নির্বাচনে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।
উপাচার্য জানান, ভোটার এবং প্রার্থী যে কোনো সংখ্যার বিবেচনায় এটি একটি বড় মাপের নির্বাচন। সারাদিন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। দুই-তিনটি অভিযোগ এসেছে, প্রতিটি অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর বাইরে বড় মাপের কোনো অভিযোগ পাইনি।
ছাত্রদলের অভিযোগের পাশাপাশি বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা সিনেট ভবনে উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান এবং অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।
এদিকে, ভোট গণনার সময় কার্জন হল কেন্দ্রের এলইডি স্ক্রিন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে কারিগরি ত্রুটি বলে জানিয়ে স্ক্রিন চালু করা হয়।
এই প্রতিবেদনটি দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য একত্র করে প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য বাদ না পড়ে এবং পাঠকরা পুরো চিত্রটি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি