ক্রিকেট মাঠ থেকে এবার ভোটের লড়াই তামিমের

ফাইল ছবি
আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন চললেও এবার প্রথমবারের মতো সরাসরি তামিম নিজেই তা নিশ্চিত করেছেন।
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদি জিজ্ঞেস করেন আমি বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেব কি না, এটা বলতে পারি যে আমার খুব ভালো সম্ভাবনা আছে। এবার নির্বাচন করছি আমি।
তামিম স্পষ্ট করেছেন, বিসিবির কাঠামো অনুযায়ী সরাসরি সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই। আগে নির্বাচনে পরিচালক হিসেবে জয়ী হতে হয়। এরপর পরিচালকদের মধ্য থেকে ভোটাভুটির মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন।
তিনি বলেন, দেখুন, কেউ তো আগে থেকেই বলতে পারে না যে সভাপতি হব। আমি যদি এখনই বলি সভাপতি হতে চাই, সেটা কতটা যৌক্তিক হবে জানি না। তবে পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর যদি মনে হয় যথেষ্ট সমর্থন আছে, তখন চিন্তা করে দেখা যেতে পারে।
তামিম ইকবালের সামনে কোয়াবের (ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি হওয়ার সুযোগ থাকলেও তিনি সেটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তার মূল লক্ষ্য বিসিবির নির্বাচন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোয়াবে তো সরাসরি সভাপতি হওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডে ব্যাপারটি ভিন্ন। আমি বিসিবির নির্বাচন করছি।
বিসিবির ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে আগে কাউন্সিলর হতে হয়। এ বিষয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে জানান তামিম।
আরও পড়ুন: কোয়াব নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন তামিম, ভোট ৪ সেপ্টেম্বর
তিনি বলেন, আমি ক্রিকেটে বিনিয়োগ করেছি। দুটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছি। কাউন্সিলর তো আমি হবই।
ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজের ভাবনা স্পষ্ট করেছেন তামিম। তার মতে, শুধু স্টেডিয়াম বাড়ালে ক্রিকেটের উন্নতি হবে না। আপনার এক্সিলেন্স সেন্টার না থাকলে ১০টি স্টেডিয়াম থেকেও কোনো লাভ নেই।
এছাড়া স্কুল ক্রিকেটের দুর্বল কাঠামো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের স্কুল ক্রিকেট কাঠামো খুবই দুর্বল। বিসিবির উচিত এখানে বিনিয়োগ করা।
ক্রিকেট বোর্ডকে ঘিরে রাজনীতি প্রসঙ্গে তামিমের বক্তব্য, স্টেকহোল্ডাররা মুখে বলেন ক্রিকেটে রাজনীতি থাকবে না। অথচ বাস্তবে একজনের সঙ্গে আরেকজনের লেগে যাচ্ছে, বাজে ধারণা ছড়াচ্ছে। অথচ আলোচনাটা হচ্ছে না যে ক্রিকেটের জন্য কে ভালো প্রার্থী।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ঘরোয়া আসরে সক্রিয় আছেন তামিম। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। তবে বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে টানা দুই শিরোপা জিতেছেন। এবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্রিকেট প্রশাসনে যোগ দিলে তার ক্যারিয়ারে শুরু হতে পারে নতুন অধ্যায়।
তামিমের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণার পর বিসিবি সভাপতি হওয়ার প্রতিযোগিতা নতুন মোড় নিতে পারে। এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির বর্তমান নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের প্রার্থী ফারুক আহমেদ কিংবা এনএসসি কোটায় পরিচালক হওয়ার চেষ্টা করা আমিনুল ইসলাম বুলবুলও।
আগামী অক্টোবরেই বিসিবির পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। সেখানেই প্রথমবারের মতো ভোটের মাঠে নামতে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল খান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি