চট্টগ্রাম আবাহনীকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা
ঢাকা: বাংলাদেশ পেশাদার লিগের ফুটবল দল চট্টগ্রাম আবাহনীকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এজন্য ইতোমধ্যে জাতীয় দলের সাবেক কোচ অভিজ্ঞ শফিকুল ইসলাম মানিককে আগামী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে ক্লাবটি। রোববার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশেনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় ক্লাবটির কর্মকতারা।
এরই অংশ হিসেবে পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করা হয়েছে। নতুন মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই নতুন কোচ নিয়োগ দিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। জাতীয় দলের সাবেক কোচ এবং মোহামেডান-মুক্তিযোদ্ধার দায়িত্ব পালনে অভিজ্ঞ শফিকুল ইসলাম মানিককে এক মৌসুমের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২০১৫-১৬ মৌসুম চট্টগ্রাম আবাহনীর তাঁবুতে থাকবেন চলতি মৌসুম কোচিংয়ের বাইরে থাকা এই অভিজ্ঞ কোচ। গতকাল কোচের সাথে চুক্তিপত্রসহ গণমাধ্যমের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরিচয় করিয়ে দেন ক্লাব কর্মকর্তারা। এসময় পরিচিত হন নতুন কমিটির অর্থ সম্পাদক ও ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার রহুল আমিনও।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাব এবং দেশের ফুটবল উন্নয়নে কি কি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে এ বিষয়গুলো একটি রূপরেখাও গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাসচিব এবং বাফুফের সদস্য সামশুল হক চৌধুরী এমপি, নতুন কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক, টিম ম্যানেজার শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী।
এসময় ফুটবলের উন্নয়নে সুনামি বইয়ে দেবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর নবনির্বাচিত নেতারা। মূলত উন্নয়নের তিনটি রূপরেখা ধরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার লক্ষ্য স্থির করেছেন তারা। স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। শুরুতে প্রিমিয়ার লিগ মাথায় রেখে এগুনোর ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন তারা।
সামনে যেহেতু নতুন মৌসুম, তাই আগে ভাগেই দল গোছানোর চিন্তা করছে চট্টগ্রাম আবাহনী। চলতি মৌসুমে পয়েন্ট টেবিলে দশ নম্বরে থাকলেও সামনে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার জন্যই মাঠে নামার কথা জানিয়েছেন ক্লাব চেয়ারম্যান রহুল আমিন। একই সুরে কথা বলেছেন কোচ মানিকও। শিগগিরই সারা দেশ থেকে খেলোয়াড় বাছাই কার্যক্রম শুরু করবে চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৮-২০ বছর বয়সী ফুটবলারদের নিয়ে চারদিনব্যাপী একটি কর্মশালা হবে।
যেখান থেকে ভবিষ্যত ফুটবলার তৈরি করে তাদের বিকিকিনির মাধ্যমে ক্লাব তার ব্যয়ভার বহন করবে এমন চিন্তাভাবনা তাদের মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনায় রয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবগুলো যে প্রক্রিয়ার খেলোয়াড় বিকিকিনি হয়, সেটাই চট্টগ্রাম আবাহনী করে দেখাতে চায়। এজন্য নিজস্ব মাঠ থাকায় একটি কমপ্লেক্স করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। যেখান থেকে অর্থ আয়ের পথ বের করারও কথা ভাবছে চট্টগ্রাম আবাহনী।
বাফুফের সদস্য সামশুল হক চৌধুরী এমপি বলেন, “আমাদের ক্লাব থেকেই এক সময় সেরা সেরা ফুটবল খেলে পরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কিছু করতে চাই। চট্টগ্রাম আবাহনীতে কিছু করার সুযোগ আছে। তাই আমি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। সামনে আমাদের লক্ষ্য একটা ভালো দল গড়ার এবং অবশ্যই লিগ শিরোপা জেতার।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসএস/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম








