এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করল ইসি
ফাইল ছবি
চলতি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে এই কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন) মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, নতুন কোনো নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এনআইডির ঠিকানা পরিবর্তন, তথ্য সংশোধনসহ সব সংশোধন সেবা বন্ধ থাকবে। নির্বাচন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
ইসি সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত ও প্রিন্টিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তালিকা সংশোধন বা পরিবর্তনের ঝুঁকি এড়াতে সংশোধন সেবা স্থগিত রাখা হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ত্রুটিমুক্ত রাখাই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বাচনের আগ সময়ে এনআইডির যে কোনো পরিবর্তন বা সংশোধন সংবেদনশীল। অনেকে এই সময় ভুয়া ঠিকানা পরিবর্তন বা তথ্য সংশোধনের চেষ্টা করতে পারে। ফলে সিস্টেম সুরক্ষিত রাখতে সংশোধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করাই প্রয়োজনীয় ছিল।
ইসির কর্মকর্তারা আরও জানান, নির্বাচন পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে তালিকা প্রিন্টিং এখন অগ্রাধিকার তালিকায়। এই সময় এনআইডিতে পরিবর্তন চলতে থাকলে একই সঙ্গে বহু তথ্য পুনর্বিন্যাস করতে হয়, যা নির্বাচন প্রস্তুতিকে জটিল করতে পারে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনে নৌবাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে: নৌবাহিনী প্রধান
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একই দিনে গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনাও থাকায় ইসি একযোগে দুই প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য এনআইডি ডেটাবেইজ স্থিতিশীল রাখা জরুরি হয়ে উঠেছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে গৃহীত এই পদক্ষেপে নাগরিকদের স্বাভাবিক সংশোধন সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় কিছু অসুবিধা তৈরি হতে পারে। তবে কমিশন বলছে, নির্বাচনী সময় পার হলেই দ্রুত সংশোধন সেবা পুনরায় চালু করা হবে।
সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭, মহিলা ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২, এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ভোটার তালিকা প্রস্তুতি ও প্রিন্টিংয়ের কাজ অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন কমিশন আশা করছে, এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নির্ভুল ও স্বচ্ছ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








