News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আপডেট: ১৬:৩০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের জনসংখ্যা এখন ১৯ কোটি: ইসি তাহমিদা

দেশের জনসংখ্যা এখন ১৯ কোটি: ইসি তাহমিদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৯ কোটি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় রয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ  আর ১ কোটি ৫১ লাখ রয়েছে প্রবাসে।

রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংলাপে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) তাহমিদা আহমদ এ তথ্য জানান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের (বিবিএস) দেওয়া তথ্যকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ বলেও মন্তব্য করেন ইসি তাহমিদা। তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যা নিয়ে বিবিএসের ডাটা প্রশ্নবিদ্ধ। একবার তারা যেটা প্রকাশ করল, পরে আবার সেটা কমিয়ে দেখানোর জন্য বলা হয়েছে।’

সংলাপে তাহমিদা আহমদ বলেন, ‘আমরা যে ভোটার তালিকাটা করলাম বাড়ি বাড়ি যেয়ে, সেখান থেকে তথ্যটা পেয়েছি। এটা একদম সঠিক তথ্য। আমাদের লোকসংখ্যা হলো ১৯ কোটি। এর মধ্যে ১ কোটি ৫১ লাখ বাইরে, প্রবাসী যেটাকে বলা হয়। শুধু ঢাকাতে রয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ মানুষ।’

আগামী সংসদ নির্বাচনে ৫ থেকে ৭ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের প্রস্তাবে নারী সমাজ রাজি নয় উল্লেখ করে রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, তাঁরা আমাদের পাঁচ থেকে সাত শতাংশ স্থান দেবেন। দান দক্ষিণা নাকি এটা। ৫৫ বছর পরে এটা শুনতে অবাক লেগেছে।

নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাশেদা কে চৌধূরী রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘বারবার বলব, পাঁচ থেকে সাত পার্সেন্ট আমরা মানি না।’

সকালে সংলাপের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা অনেক কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করতে পেরেছি। সবচেয়ে বড় কাজ যেটা করতে পেরেছি, সেটা হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। এটা একটা বিশাল কাজ। আমরা প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটার কর্তন করতে পেরেছি।’

কমিশন নয়টি আইন সংশোধন করেছে উল্লেখ করে সিইসি আরও বলেন, 'মোটামুটি নির্বাচন অনুষ্ঠানটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যা যা করা দরকার, এ ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে গিয়েছি।’

সংলাপে অংশ নিয়ে সাংবাদিক ও কবি সোহরাব হাসান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে কি না, এটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন—এই কমিশন মনে করে কিনা যে, বর্তমান সরকারের আমলে অবাধ সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করা সম্ভব। যদি মনে করে, তাহলে নির্বাচন কমিশনকে পরবর্তী নির্বাচনের দায় নিতে হবে।’

আরও পড়ুন: নীলক্ষেতে ডাকসুর ব্যালট ছাপানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল ঢাবি প্রশাসন

নির্বাচন কমিশন কিছু কিছু বিতর্ক এড়াতে পারতেন উল্লেখ করে সোহরাব হাসান বলেন, একটা পক্ষকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ধরে নিলাম তাঁরা নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু যেসব রাজনৈতিক দল সরকারের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনে বসেছে, তাদের মধ্যে যদি কেউ মনে করেন যে, পরিস্থিতি অনুকূলে নয় বা আমরা জিতব না, সুতরাং আমরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। তাহলে কী পরিস্থিতি হবে, আপনারা ভেবে দেখুন।

ইসির আমন্ত্রণে সংলাপে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মাহফুজুর রহমান, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, বিজিএমই-এর পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, টিআইবির পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান প্রমুখ।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়