লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসিত ১৭৫ বাংলাদেশি
ছবি: সংগৃহীত
লিবিয়ার বেনগাজি শহরের গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল সোয়া ৬টায় লিবিয়ার বুরাক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (UZ222) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে উপস্থিত থেকে প্রত্যাবাসিতদের গ্রহণ করেন এবং বিদায় জানান। রাষ্ট্রদূত লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইওএমের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত অভিবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভবিষ্যতে বৈধ ও নিরাপদ উপায়ে বিদেশ গমন করা প্রয়োজন এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। তিনি প্রত্যেককে নিজ নিজ এলাকায় অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ
পাশাপাশি দেশে ফিরে মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন। তিনি আশ্বাস দেন, এই প্রক্রিয়ায় দূতাবাস সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলি বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বেশিরভাগ প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি সমুদ্রপথে ইউরোপে অবৈধভাবে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। লিবিয়ায় তারা মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় অনুপ্রবেশ করেন এবং অনেকেই অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।
দেশে ফিরার পর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন জানান, ফেরত আসা ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ হবে।
ত্রিপোলি দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য তারা লিবিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আইওএমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এই উদ্যোগে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








