ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রস্তুত ইসি
ছবি: সংগৃহীত
আগামী ফেব্রুয়ারিতেই রমজান মাসের পূর্বে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছি। ডিসেম্বরের প্রথম ভাগেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আশা করছি, গণমাধ্যমের সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান মুন্সিসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
নির্বাচন প্রস্তুতি প্রসঙ্গে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষ পর্যায়ে। ভোটকেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আসনবিন্যাস, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক নীতিমালার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সংলাপও শেষ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে, তারাও এবার ভোট দিতে পারবেন। প্রবাসী ভোটারদের জন্য নভেম্বর মাস থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। একই সঙ্গে কারাবন্দী ব্যক্তিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’
ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশে যারা ভোট গ্রহণ করবেন—প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করে যাচ্ছি। কারণ, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের মাঝে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও আশঙ্কা কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব।
গণভোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গণভোট সংসদ নির্বাচনের আগে হবে, না পরে হবে—বিষয়টি এখনো নির্বাচন কমিশনের নজরে আসেনি। সরকার কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। সিদ্ধান্ত হলে সবাইকে জানানো হবে।
পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে কি না—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কী আসে, সেটার অপেক্ষায় আছি। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।
নির্বাচনী প্রতীক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন পরিকল্পনা বিধিমালার মধ্যে কতগুলো প্রতীকের একটি তফসিল থাকে। এটি সময় সময় নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে। কিছু প্রতীকের বিষয়ে সুপারিশ ছিল, আমরা সেগুলো বাদ দিয়ে সুন্দর সুন্দর কিছু প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনী ইস্যু নিয়ে যেন কোনো অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো না হয়, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি গণমাধ্যমের সহযোগিতাও প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার শুক্রবার সকালে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিতে পটুয়াখালী আসেন। আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুয়াকাটা সিওডিইসি ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবেন তিনি। মতবিনিময় সভা শেষে তিনি কুয়াকাটার উদ্দেশে রওনা হন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








