News Bangladesh

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ১০ আগস্ট ২০২৫

গাজায় একদিনে ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় একদিনে ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে একদিনে আরও ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৪১৯ জন। 

রবিবার (৯ আগস্ট) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৩৯টি মৃতদেহ পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯১ জনে। আহতের মোট সংখ্যা এখন ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৫০ ছাড়িয়েছে। বহু মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে রয়েছে, যেখানে উদ্ধারকারীরা যেতে পারছেন না।

বিশেষত, মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ২১ জন নিহত এবং ৩৪১ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে এই ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৭৪৩ জনে এবং আহত হয়েছে ১২ হাজার ৫৯০ এর বেশি।

অপরদিকে, খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির কারণে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ২১২ জন, যাদের মধ্যে ৯৮ জন শিশু।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামিলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ৬০ হাজার

এ পর্যন্ত চলমান সংঘাতে গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৬১ হাজার ৩৬৯ জনে, আর আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৫০ ছাড়িয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সশস্ত্র হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী টানা সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ১৫ মাসের বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপের ফলে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু এর দুই মাসের মধ্যে ফের গত ১৮ মার্চ থেকে অভিযান শুরু হয়।

এই সংকটের মধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতগুলোও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা গ্রহণ করেছে। গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার সংকট নিরসনে রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া স্থায়ী শান্তি কঠিন। ত্রাণ কার্যক্রম নিরাপদ করতে এবং বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়