ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ চায় না দিল্লি: প্রতিবেদন
ফাইল ছবি
বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে ঢাকা-দিল্লির মধ্যে সাম্প্রতিক টানাপোড়েন সম্পর্কের ধারায় কোনো ইতিবাচক সংকেত না দিলেও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কোনো ইচ্ছা ভারতের।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে ভারতের একাধিক সরকারি সূত্র এমন দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ঢাকা বাণিজ্য বিষয়ক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটির বদলে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা দিল্লি হয়ত নেবে না।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্যদেশে পণ্য রপ্তানি করার যে সুবিধা ভোগ করে আসছিল সম্প্রতি ভারত সরকার তা বাতিল করে দেওয়ার পর বাংলাদেশ দেশটির স্থল বন্দরগুলো ব্যবহার করে সুতা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে প্রতিবেদনটিতে ভারতের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলা হয়, তারা নিজেদের স্থল ও বিমানবন্দরগুলোতে পণ্যজট এড়াতেই ২০২০ সালে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বাতিলের সুপারিশ ট্রাম্প প্রশাসনের
ভারতীয় সরকারি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরের জট কমাতে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। তবে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছে ভারত সরকার।
যদিও দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যমে এর আগে বেশ ফলাও করে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করার পর ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে তাদের সরকার।
টাইমস অব ইন্ডিয়া দাবি করেছে, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের আগেই গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ তিনটি বন্দর বন্ধ ও স্থল বন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও সুতা আমদানি সংক্রান্ত নির্দেশনা কেবলই গত সপ্তাহে জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এছাড়া গত জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বাংলাদেশ সতর্কতা বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল সেটিও দুই দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে করা হয়েছিল বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বিধিনিষেধ আরোপের পাশাপাশি বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে। এর আওতায় গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল ক্রয় করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এছাড়া বাংলাদেশে রপ্তানি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নেয় পাকিস্তান। সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিতে বাংলাদেশ সফর করছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বেলুচ।
তাছাড়া, আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








