হেফাজতে নিহত আরও ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিল ইসরায়েল
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের হেফাজতে নিহত আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ গাজা উপত্যকায় ফেরত দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফেরত দেওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে অনেকের দেহে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির মাধ্যমে মৃতদেহগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর আগে ফেরত আসা মৃতদেহগুলোর মধ্যে চোখ বাঁধা ও হাতকড়া পরানোর মতো আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল। অনেক মৃতদেহ ছিল বিকৃত বা পোড়া, আবার কারো কারো শরীর থেকে অঙ্গ বা দাঁত অনুপস্থিত ছিল। বর্তমানে মৃতদেহগুলো যাচাই-বাছাই ও শনাক্ত করার কাজ চলছে। সর্বশেষ হস্তান্তরের পর মোট ২২৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দির দেহাবশেষ গাজায় ফিরেছে।
এই মৃতদেহগুলো ফিলিস্তিনি বন্দি ও ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময়ের চুক্তির অংশ হিসেবে ফেরত দেওয়া হয়েছে। চুক্তির আওতায় হামাস ২০ জন জীবিত জিম্মি মুক্তি দিয়েছে, এবং ইসরায়েল প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
তবে নড়বড়ে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী গাজা জুড়ে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। শুক্রবারের হামলায় কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুজাইয়া এলাকায় একজন নিহত ও তার ভাই আহত হয়েছেন। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আরও একজন নিহত হয়েছেন, আর পূর্বের হামলায় আহত তৃতীয় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া, ইসরায়েল জিম্মি হিসেবে থাকা তিনজনের অজ্ঞাত মৃতদেহও ফেরত পেয়েছে বলে রেড ক্রস জানিয়েছে। এই নিয়ে হামাস এখন পর্যন্ত ১৭ জন ইসরায়েলি জিম্মির দেহাবশেষ ফেরত দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, হামাস মোট ২৮ জন জিম্মির দেহাবশেষ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও ইসরায়েল গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং খুলতে এবং মানবিক সহায়তার ট্রাকগুলিকে প্রবেশে অনুমতি দিতে এখনও রাজি হয়নি। জাতিসংঘের গুদাম থেকে সাহায্য পাওয়ায় ফিলিস্তিনিরা প্রকৃতই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্কনীতি বাতিলে মার্কিন সিনেটে রেজোল্যুশন পাস
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ আইনজীবী ইফাত তোমার-ইয়েরুশালমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বছর সাদেই তাইমান আটক কেন্দ্রে ফিলিস্তিনি বন্দির ওপর ইসরায়েলি সেনাদের যৌন হয়রানির ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি








