পরিবারে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের যত্ন নেবে রোবট!

ছবি: ইন্টারনেট
প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোবটকে এমনভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে, যাতে ঘরবাড়ির কাজ থেকে শুরু করে মানসিকভাবেও সাহায্য করতে পারে এরা। অর্থাৎ পরিবারের বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের যত্ন নিতে পারদর্শি করে গড়ে তোলা হচ্ছে রোবটকে।
মানুষের জীবনযাপন সহজ করে তুলছে এসব রোবট, বিশেষ করে বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বেলায়। ব্যক্তিগত হোম কেয়ার হচ্ছে প্রতিটি ব্যক্তির অনন্য চাহিদা পূরণের বিষয়ে। রোবটরা অভিযোজিত ও স্মার্ট হওয়ার মাধ্যমে এতে বড় ভূমিকা রাখে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজ।
আরও পড়ুন: রিলসের সময় বাড়ালো ইনস্টাগ্রাম
যেমন– কিছু রোবট মানুষকে তাদের ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে, তাদের উঠে দাঁড়াতে ও চলাফেরায় সহায়তা করতে পারে।
২০২২ সালে জাপানে পরিচালিত এক গবেষণায় এমন রোবট নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন গবেষকরা, যা বয়স্কদের হাঁটতে অসুবিধার হলে তাদের শারীরিক সহায়তা দিতে পারে। তাদের পড়ে যাওয়া ঠেকাতে সেন্সর দিয়ে কাজ এসব রোবট এবং ব্যবহারকারীর চাহিদার উপর ভিত্তি করে তাদের সহায়তা দেয়। গবেষণার এসব ফলাফল থেকে ইঙ্গিত মেলে, রোবটের মাধ্যমে বাড়িতে চলাফেরা করার সময় নিরাপদ ও আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন ব্যবহারকারীরা।
মানুষের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করার জন্যও রোবটের ব্যবহার হচ্ছে, যা জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আরামদায়ক করে তুলেছে। যেমন– এরইমধ্যে অনেক বাড়িতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ও মপের মতো ঘর পরিষ্কারের রোবট। নতুন ধরনের রোবটও তৈরি হচ্ছে, যেগুলো খাবার তৈরি, কাপড় ভাঁজ ও ঘরের অন্যান্য কাজও করতে পারে।
২০২৩ সালে রান্নাযর কাজে সহায়তার জন্য ডিজাইন করা এক রোবট চালু করেছিলেন জার্মানির গবেষকরা। রোবটটি বিভিন্ন রান্নার রেসিপি অনুসরণ করে রান্না করতে, সবজি কাটতে ও তা পরিষ্কারও করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, রান্নার সময় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছে রোবটটি, যা ব্যস্ত পরিবারের মানুষদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক।
হোম কেয়ারে রোবোটিক্সের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর প্রয়োগের মধ্যে একটি হচ্ছে, মানসিক সমর্থন। কিছু রোবটকে ডিজাইন করা হয়েছে সামাজিকভাবে মিথস্ক্রিয়া করার জন্য। যারা একাকী বা বিচ্ছিন্ন বোধ করেন তাদের সঙ্গী হিসাবে কাজ করে এরা। যেমন– বয়স্কদের জন্য তৈরি হয়েছে রোবোটিক পোষা প্রাণী, যারা জ্যান্ত প্রাণীদের যত্ন নিতে পারে না তবে এখনও এদের সাহচর্য কামনা করে তাদের জন্য।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি