কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চট্টগ্রামে আবারও গুলিবর্ষণ, আহত ৫
ছবি: সংগৃহীত
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আবারও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে জেলার রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কুইয়াপাড়া চৌধুরী পাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুলিবিদ্ধরা হলেন রাউজান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এবং বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল। তাদের সবার বাড়ি ওই ইউনিয়নেই।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আবদুল্লাহ সুমনের বুকে গুলি লাগায় তার অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাউজান উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইস্তিয়াক চৌধুরী অভি ওরফে ‘সন্ত্রাসী অভ্যার’ নেতৃত্বে আলতাফ চৌধুরী টুটুল, জনি চৌধুরীসহ ৭–৮ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিতভাবে গুলি চালায়। তারা মোটরসাইকেল ও একটি গাড়িতে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গুলিতে নিহত সরোয়ার ছিলেন মূল টার্গেট: সিএমপি কমিশনার
এ বিষয়ে রাউজান–রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে অভিযান চলছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করেছে। হামলাকারীরা অনেক আগেই পালিয়ে যায়। রাতের এ ঘটনায় পুরো কুইয়াপাড়া এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে একইদিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের পূর্ব বায়েজিদ এলাকার চাইল্লাতলীতে গণসংযোগ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ও মহানগর আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। সেই ঘটনায় সরাসরি গুলিতে নিহত হন তার সঙ্গে থাকা কর্মী সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩)।
ওই ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। সরকারও কড়া বিবৃতি দিয়ে ঘটনার নিন্দা জানায় এবং প্রধান উপদেষ্টা জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
একই দিনে দুটি গুলির ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








