নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ঘোষণা রাশিয়ার
ফাইল ছবি
নতুন প্রজন্মের পারমাণবিকচালিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির চেয়ে তিনগুণ বেশি গতিতে চলবে এবং ভবিষ্যতে তা হাইপারসনিক পর্যায়ে উন্নীত হবে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মস্কোয় ক্রেমলিনে আয়োজিত এক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন পুতিন।
অনুষ্ঠানে তিনি পারমাণবিকচালিত ‘বুরেভেসনিক’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং পানির নিচে ব্যবহারের জন্য নির্মিত ‘পোসেইডন’ মানববিহীন ডুবোযান প্রকল্পে যুক্ত বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করেন।
পুতিন বলেন, আমরা নতুন প্রজন্মের পারমাণবিকচালিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করেছি। এটি শব্দের গতির তিনগুণেরও বেশি গতিতে চলবে এবং ভবিষ্যতে হাইপারসনিক পর্যায়ে পৌঁছাবে।
তিনি আরও জানান, রাশিয়া বর্তমানে এমন এক নতুন প্রজন্মের অস্ত্র তৈরি করছে, যেগুলোর শক্তি ইউনিট বুরেভেসনিক ও পোসেইডনের মতো একই প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হবে।
তার ভাষায়, বুরেভেসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উন্নয়ন রাশিয়ার জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন, যা আগামী কয়েক দশক দেশের নিরাপত্তা ও কৌশলগত ভারসাম্য নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অন্ধকারে নিউইয়র্ক হবে আলোর দিশা: মামদানি
পুতিন দাবি করেন, বুরেভেসনিক ও পোসেইডন প্রকল্পে ব্যবহৃত প্রযুক্তি অনন্য এবং একে অপরের পরিপূরক। এই প্রযুক্তি শুধু প্রতিরক্ষা খাতেই নয়, বেসামরিক খাতেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, মস্কো কোনো দেশের জন্য হুমকি নয়। অন্যান্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মতো রাশিয়াও তার পারমাণবিক সক্ষমতা আধুনিক করছে।
পুতিন আরও জানান, এই বছর আমরা সারমাত আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমকে যুদ্ধ-পরীক্ষায় ব্যবহার করবো এবং আগামী বছর এটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ-অবস্থানে মোতায়েন করা হবে।
গত মাসে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, বুরেভেসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের “গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা” সম্পন্ন হয়েছে। সে সময় রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১৫ ঘণ্টা উড়ে ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে।
পুতিন আরও দাবি করেন, গত ২১ অক্টোবর বুরেভেসনিকের পরীক্ষার সময় পরীক্ষাস্থলের কাছাকাছি ন্যাটোর একটি যুদ্ধজাহাজ উপস্থিত ছিল, তবে মস্কো তাদের কার্যক্রমে কোনো বাধা দেয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো বুরেভেসনিক ও পোসেইডন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সে সময় তিনি এ দুটি অস্ত্রকে “অদ্বিতীয়” এবং “অসীম পাল্লার সক্ষমতাসম্পন্ন” বলে বর্ণনা করেছিলেন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, অ্যাসোসিয়েট প্রেস
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








