News Bangladesh

ফিচার ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ২৮ আগস্ট ২০২৫

মানবতার সেবায় আত্নউৎর্সকারী মাদার তেরেসা

মানবতার সেবায় আত্নউৎর্সকারী মাদার তেরেসা

ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীতে যে কজন মানুষ মনবাতার সেবায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাদের মধ্যে মাদার তেরেসা অন্যতম। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ছিল সেই মহিয়সী নারীর ১১৫তম জন্মদিন। ১৯১০ সালের এই দিনে আলবেনিয়ার স্কোপেজ শহরে তার জন্ম। 

মাদার তেরেসা (জন্ম অ্যাগনেস গঞ্জা বোজাঝিউ, ১৯১০-১৯৯৭) ছিলেন আলবেনীয়-বংশোদ্ভূত এক ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক, যিনি মূলত ভারতে ও কলকাতায় তাঁর জীবন দরিদ্র ও নিঃস্বদের সেবায় উৎসর্গ করেন। তিনি 'মিশনারিজ অফ চ্যারিটি' নামক একটি ধর্মীয় আদেশ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তার মানবসেবার জন্য তিনি ২০১৪ সালে পদ্মশ্রী, ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং পরবর্তীতে ভারতরত্ন লাভ করেন। ২০১৬ সালে, তিনি সেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান। 

আরও পড়ুন: জার্মানিতে প্রতি পাঁচজনের একজনের সঙ্গী নেই

জীবন ও কর্ম
২৬ আগস্ট ১৯১০ সালে স্কোপজেতে (বর্তমান উত্তর মেসিডোনিয়া) একটি আলবেনীয় পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই তিনি সন্ন্যাসিনী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। 

ভারতে আগমন
১৯২৮ সালে তিনি ভারতে আসেন এবং সিদ্ধান্ত নেন गरीबों ও নিঃস্বদের সেবা করার। তিনি কলকাতায় বসবাস শুরু করেন। 

মিশনারিজ অফ চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা
তিনি 'মিশনারিজ অফ চ্যারিটি' নামক একটি ধর্মীয় আদেশ প্রতিষ্ঠা করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সেবা করা। 

মানবসেব
তিনি কলকাতায় 'শিশুভবন', 'নবজীবন আবাস' (শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য) এবং 'প্রেমনিবাস' (কুষ্ঠ রোগীদের জন্য) প্রতিষ্ঠা করেন। 

পুরস্কার ও স্বীকৃতি
১৯৬২: পদ্মশ্রী। 
১৯৭৯: নোবেল শান্তি পুরস্কার। 
ভারত সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, ভারতরত্ন লাভ করেন। 
২০১৬: রোমান ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃক সেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি। 

মৃত্যু 
১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মাদার তেরেসা মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর জীবন মানবসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়