মোরাগ অ্যাক্সিস: করিডোর নাকি ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করার কৌশল

ছবি: মিডল ইস্ট আই
ইসরায়েলের সামরিক অভিযান গাজায় এক নতুন মোড় নিয়েছে। সশস্ত্র অভিযান, বিমান হামলা কিংবা স্থল দখল ছাড়িয়ে এবার ইসরায়েল গাজার মানচিত্র বদলে দেওয়ার পথে এগোচ্ছে। এই কৌশলের সর্বশেষ অধ্যায় — ‘মোরাগ অ্যাক্সিস’।
মরুভূমির বালুরাশিতে এগিয়ে চলেছে ইসরায়েলি বুলডোজার — উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজা ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এই করিডোর শুধু একটি সামরিক রাস্তা নয়, বরং একটি ‘মানচিত্রিক অস্ত্র’, যা পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের রাজনৈতিক ও মানবিক কাঠামো বদলে দিতে চায়।
২০২৪ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরুর পর থেকে মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে গাজা উপত্যকা। মৃত্যুর মিছিল, ধ্বংসস্তূপ আর অস্ত্রের শব্দের মাঝে গাজার অভ্যন্তরে একের পর এক সামরিক কৌশল গ্রহণ করছে ইসরায়েল। গাজাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের পটভূমিতে আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে নতুন আরেকটি পদক্ষেপ। এটি হলো ইসরায়েলের তথাকথিত ‘মোরাগ অ্যাক্সিস’ পরিকল্পনা।
এটি শুধু সামরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য নয়, বরং এর মাধ্যমে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলকে পূর্ব-পশ্চিমে বিভক্ত করে অঞ্চলটির ভৌগোলিক এবং রাজনৈতিক অখণ্ডতা ধ্বংস করার একটি কৌশলগত উদ্যোগ। ভৌগোলিকভাবে গাজাকে দ্বিখণ্ডিত করে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ফিলিস্তিনি জনগণকে দুর্বল করার এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ।
যদিও ইসরায়েল একে সামরিক ‘করিডোর’ হিসেবে অভিহিত করছে, বিশ্লেষকদের মতে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি উপনিবেশিক রূপান্তরের অংশ।
‘মোরাগ অ্যাক্সিস’ কী এবং কোথায়?
‘মোরাগ অ্যাক্সিস’ একটি সামরিক করিডোর যা গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ ও খান ইউনিস শহরের মাঝামাঝি বিস্তৃত। ১৯৭০-এর দশকে এই অঞ্চলে একটি অবৈধ ইহুদি বসতি গড়ে তোলা হয়েছিল, যার নাম ছিল ‘মোরাগ’। ২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজা থেকে তার সব বসতি সরিয়ে নেওয়ার সময় এই অঞ্চলও পরিত্যক্ত হয়।
বর্তমানে ইসরায়েল এই অঞ্চলটিকে একটি সামরিক করিডোরে রূপান্তর করছে, যা খান ইউনিস এবং রাফাহ শহরের মাঝখানে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত।
এই করিডোর গাজার পশ্চিম উপকূল থেকে পূর্বদিকে ইসরায়েলি সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত, অর্থাৎ একটি প্রস্থচ্ছেদের মতো। ফলে এটি কার্যত দক্ষিণ গাজাকে দুটি ভাগে ভাগ করছে—উত্তরাংশ যেখানে খান ইউনিস অবস্থিত এবং দক্ষিণাংশ যেখানে রাফাহ, যা মিশরের সীমান্তঘেঁষা এবং বর্তমানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের মূল আশ্রয়স্থল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই করিডোরকে সামরিক 'বাফার জোন' হিসেবে ঘোষণা করে তাতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় আছে।
কৌশলগত লক্ষ্য কি শুধুই সন্ত্রাসবিরোধী?
ইসরায়েল সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, এই করিডোর নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য হলো হামাসের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করা এবং গাজার ভেতরে ‘সন্ত্রাসী চলাচল’ নিয়ন্ত্রণে আনা। তবে বাস্তবতা আরও জটিল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) মতে, এই করিডোর তৈরির উদ্দেশ্য হলো গাজা উপত্যকার ভেতরে ‘সন্ত্রাসী চলাচল’ সীমিত করা, হামাসের সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন করা এবং ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী’ সৃষ্টি করা।
তবে বিশ্লেষকরা একে একটি পরিকল্পিত ভূ-রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন যার ফলে ফিলিস্তিনিদের ভৌগোলিক ঐক্য ধ্বংস হয়ে যাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি সুদূরপ্রসারী কৌশল যার মাধ্যমে গাজাকে খণ্ড-বিখণ্ড করে ফেলতে চায় ইসরায়েল। পূর্বে গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘নেতজারিম করিডোর’ গঠন করে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এখন ‘মোরাগ অ্যাক্সিস’-এর মাধ্যমে দক্ষিণ অংশের সংযোগও ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এই ধারাবাহিক পদক্ষেপ ফিলিস্তিনিদের ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা এবং শেষমেশ স্থায়ী বাস্তুচ্যুতি ঘটাতে পারে।
২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের পর থেকেই ইসরায়েল একটি নিরব কৌশল অনুসরণ করে আসছে — “বিভাজন এবং নিয়ন্ত্রণ” । গাজার জনগণের জীবনযাত্রা, অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে প্রতিরোধের শক্তি ধ্বংস করা। মোরাগ অ্যাক্সিস এই কৌশলের একটি সাম্প্রতিক প্রতিফলন।
দুই করিডোরের লক্ষ্য এক
এর আগে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে ইসরায়েল গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি করিডোর তৈরি করে, যা নেতজারিম করিডোর নামে পরিচিত। সেটি গাজার উত্তরের শহরগুলোর সঙ্গে দক্ষিণ অংশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এখন দক্ষিণে ‘মোরাগ অ্যাক্সিস’ তৈরি করে ইসরায়েল পুরো গাজাকে খণ্ডিত করার পথে এগোচ্ছে।
এই দুই করিডোর মিলে গাজার অভ্যন্তরে এক ধরনের ‘উপনিবেশিক টুকরো-টুকরো কাঠামো’ তৈরি করছে, যা ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ভাবনার কফিনে শেষ পেরেক হতে পারে।
মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র
‘মোরাগ অ্যাক্সিস’ ঘিরে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো এর মানবিক প্রভাব। যে অঞ্চলটিকে করিডোরে পরিণত করা হচ্ছে, সেটিই ছিল ইসরায়েলের ঘোষিত ‘নিরাপদ এলাকা’। সেটি দীর্ঘ সময় ধরে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
যুদ্ধের শুরুতে উত্তর গাজা থেকে লাখ লাখ মানুষ রাফাহ ও খান ইউনিসে আশ্রয় নিয়েছিল ইসরায়েলি অনুরোধে। ইসরায়েল বারবার বলেছে, এই অঞ্চল ‘নিরাপদ’ এবং ‘মানবিক আশ্রয় কেন্দ্র’ হিসেবে চিহ্নিত।
তবে বাস্তবে সেই অঞ্চলেই ইসরায়েল নির্মাণ করছে সামরিক কাঠামো, বুলডোজার চালিয়ে ধ্বংস করছে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং আশ্রয়কেন্দ্র। ফলে এই করিডোর তৈরির মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ আরও একবার গৃহহীন হওয়ার পথে।
জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, রাফাহ ও খান ইউনিসের মধ্যবর্তী এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো দিন দিন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। করিডোর ঘিরে গড়ে ওঠা এই সামরিক অঞ্চল ইতোমধ্যে প্রায় ৩ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস একাধিক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে, এই অঞ্চলে এখন চিকিৎসা, খাবার ও পানি পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক নিরবতা ও দ্বিচারিতা
গাজার এই করিডোর পরিকল্পনা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পশ্চিমা শক্তিশালী রাষ্ট্র প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতোই ইসরায়েলের “নিরাপত্তার অধিকার” সমর্থন করে চলেছে।
ইসরায়েলের এই উদ্যোগকে "আত্মরক্ষার অধিকার" বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি।
জাতিসংঘ এই উদ্যোগকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন, এই করিডোর পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সমান।
এই নিরবতা আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক নির্মম বাস্তবতা তুলে ধরেছে এবং সরাসরি সমর্থন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতির সঙ্গে একেবারেই সাংঘর্ষিক। যেখানে আন্তর্জাতিক আইনের চোখে একটি অবরুদ্ধ, দখলকৃত অঞ্চল গাজাকে কৌশলগতভাবে টুকরো করে দেওয়া হচ্ছে, অথচ বিশ্ব সম্প্রদায় নিরব।
সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যাখ্যা ও ফলাফল
সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘মোরাগ অ্যাক্সিস’ একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে গাজার ভেতরে একটি সরাসরি করিডোর দেয়, যার মাধ্যমে তারা সহজে দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালাতে পারবে।
ইসরায়েল যদি এই করিডোর স্থায়ী করতে চায়, তবে তা শুধু সামরিক নয়, রাজনৈতিক দখলের প্রতীক হয়ে উঠবে। পশ্চিম তীরের মতো গাজাও তখন দখলীকৃত ভূখণ্ডে রূপ নেবে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের চলাফেরা, জীবনযাপন এবং আত্মনির্ভরতা পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এছাড়াও, এটি একটি বাফার জোন হিসেবে কাজ করবে, যাতে হামাস এবং অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠন রাফাহ ও খান ইউনিসের মধ্যে সহজে চলাচল করতে না পারে।
রাজনৈতিকভাবে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের একচেটিয়া দখলনীতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ।
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এই করিডোর ভবিষ্যতে স্থায়ী সীমান্ত পুনর্গঠনের অংশ হয়ে উঠতে পারে। অর্থাৎ, এটি শুধু একটি সামরিক ব্যবস্থা নয়, বরং ইসরায়েলের ভূখণ্ডিক বিস্তারের অংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ইসরায়েল ভবিষ্যতে গাজার কোনও কেন্দ্রীভূত প্রশাসন গঠনের সম্ভাবনাও ধ্বংস করে দেবে। বিভিন্ন করিডোর, চেকপোস্ট ও সামরিক অঞ্চলের কারণে ফিলিস্তিনিদের সংহতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
ফিলিস্তিনের প্রতিক্রিয়া
হামাসসহ অন্যান্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন এই করিডোরকে ‘অবরোধ ও বিভাজনের অস্ত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা মনে করে, ইসরায়েল এই করিডোর ব্যবহার করে গাজার দক্ষিণাংশকে বিচ্ছিন্ন করে রাজনৈতিক এবং সামরিকভাবে দুর্বল করতে চায়।
এছাড়াও, গাজার সাধারণ মানুষ এই পরিকল্পনায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তারা বারবার আশ্রয়স্থল বদলাচ্ছেন, কিন্তু কোথাও নিরাপত্তা নেই। যারা ইতিমধ্যেই বাড়ি হারিয়েছেন, তাদের এখন আরেক দফা বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ভবিষ্যৎ প্রভাব
১.‘মোরাগ অ্যাক্সিস’ বাস্তবায়িত হলে এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী ও সুদূরপ্রসারী হবে।
২. গাজা কার্যত দুটি ভাগে বিভক্ত হবে। এর ফলে হামাসসহ প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক সংহতি ভেঙে পড়তে পারে।
৩. মানবিক বিপর্যয়: হাজার হাজার মানুষ দ্বিতীয়বার বাস্তুচ্যুত হবে, খাদ্য, পানি, ও চিকিৎসাসেবার সংকট আরও প্রকট হবে।
৪. এই করিডোর ইসরায়েলের দখলদার নীতিকে স্থায়ী করতে পারে। আন্তর্জাতিক মহলে এটি দীর্ঘমেয়াদে আরও বিভক্তির সৃষ্টি করবে।
৫. আঞ্চলিক উত্তেজনা: রাফাহ সীমান্ত মিশরের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় এই অঞ্চল নিয়ে ইসরায়েলের কার্যক্রম মিশরীয় উদ্বেগ বাড়াতে পারে, ফলে গাজার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।
বিশ্বজনমত
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন, বুদ্ধিজীবী এবং সচেতন সমাজের অংশগ্রহণে প্রতিবাদ বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া এবং রাস্তায় নেমে ইসরায়েলের নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে। ইউরোপ ও আমেরিকার বড় শহরগুলোতে ফিলিস্তিন সংহতি মিছিলের প্রধান দাবি এখন— “গাজার দখল বন্ধ করো”, “মোরাগ অ্যাক্সিস বাতিল করো” ।
তবে এই জনমত এখনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে তেমনভাবে প্রভাবিত করতে পারেনি। এর বড় কারণ পশ্চিমা রাজনীতিতে ইসরায়েলের প্রভাব এবং অস্ত্রচুক্তির মত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়।
বিশ্লেষকদের মত
‘মোরাগ অ্যাক্সিস’ ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক ও কৌশলগত পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল একটি সামরিক করিডোর নয়, এটি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত দখলনীতি। এটি মানবিক, রাজনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত। একটি ভৌগোলিক ও মানবিক রূপান্তরের প্রতীক—যা ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিরুদ্ধে গভীর চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। যার মধ্য দিয়ে গাজার ভৌগোলিক ঐক্য ধ্বংস হচ্ছে, মানবিক দুর্যোগ বাড়ছে, এবং ফিলিস্তিনি স্বাধিকারের সংগ্রাম আরও কঠিন হয়ে উঠছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এই করিডোর ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতার কারণ হয়ে উঠবে। গাজার জনগণ কেবলমাত্র অস্ত্রের আওয়াজ নয়, এক জটিল নিষ্ঠুর নীরব যুদ্ধের শিকার—যেখানে তাদের জমি, তাদের পরিচয় এবং তাদের অধিকার টুকরো করে ফেলা হচ্ছে একেকটি করিডোর দিয়ে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি