News Bangladesh

হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৫৩, ২৮ মে ২০২৫

৬ লাখে বিক্রির অপেক্ষায় ২০ মণের ‘বীর বাহাদুর ও সম্রাট’

৬ লাখে বিক্রির অপেক্ষায় ২০ মণের ‘বীর বাহাদুর ও সম্রাট’

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে প্রস্তুত করা হয়েছে বিশালাকৃতির দুইটি ষাঁড়।

উপজেলা চলবলা ইউনিয়নের মুত্তাকিন মুবিন ফেটেনিং এন্ড ডেইরী ফার্মের মালিক নিথক গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন আলম। তার ফার্মে প্রস্তুত করা হয়েছে বিশালাকৃতির দুইটি ষাঁড়। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‌‘রীর বাহাদুর’ ও সম্রাট। কালো কুচকুচে বীর বাহাদুরের ওজন ২০মণ। উচ্চতা ছয় ফুট আর দৈর্ঘ্য ৯ ফুট। ষাঁড়টি দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন ফার্মের পাশে স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। 

ষাঁড়টির মালিক আলমগীর হোসেন আলম বলেন, এটি উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। দীর্ঘ তিন বছর ধরে ফার্মে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হয়েছে গরুটিকে। বীর বাহাদুরের দৈহিক গঠন যেমন চমকপ্রদ, তেমনি তার স্বভাবও আলাদা। শক্তিশালী ও হৃষ্টপুষ্ট ষাঁড়টিকে সামলাতে কখনো কখনো লেগে যায় ৩-৪ জন লোক।

২০ মন ওজনের  বাহাদুরকে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের খাবার খাওয়ানো হয়। খাবার তালিকায় রয়েছে প্রাকৃতিক ঘাস, খৈল, ভুষি ইত্যাদি। তিন বেলা গোসলের পাশাপাশি নেওয়া হয় বিশেষ পরিচর্যা।

আলমগীর হোসেন আলমের খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কোরবানির বাজারকে ঘিরে খামারিরা গরুর পরিচর্যা ও প্রাকৃতিক খাদ্য খৈল, খড় সবুজ ঘাস ও দানাদার খাদ্য দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

খামারি আলমগীর হোসেন আলম বলেন, দেশীয় খাবার দিয়েই গরু মোটাতাজা করছি এবং ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে গবাদি পশু” রীর বাহাদুর ”প্রস্তুত করছি। যদিও এবার পশু খাদ্যের দাম বেশি, তবুও আশা করছি ভালো দাম পাব। আমার খামারে মোট ছোট - বড় ২০টি গরু বাজারে বিক্রি করার মত প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার খামারে দুইটি  গরু রয়েছে নাম দিয়েছি” বীর বাহাদুর ও সম্রাট যার বাজার মূল্য ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা হবে।

মিথ্যা ধরার কলাকৌশল

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফেরদৌসুর রহমান বলেন, গরুর হাট ও খামারে আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। এবারের ঈদেও প্রতিটি পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হবে। যাতে কেউ কেমিক্যাল বা স্টেরয়েড ব্যবহার করা গরু ছাগল এবং রোগাক্রান্ত গবাদি পশু বিক্রি করতে না পারেন। 

তিনি আরো বলেন, উপজেলায় কোরবানিযোগ্য গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে ৩৫ হাজার ৮শ ৫০টি। যেখানে চাহিদা রয়েছে ২৮ হাজার ২শ ৮০ টি গরুর। এ উপজেলায় চাহিদার তুলনায় গবাদিপশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। সরাসরি হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও গরু ও ছাগল বিক্রির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়