News Bangladesh

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার থেকে || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:০৪, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

ইউএনওর হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল কুলাউড়ায় ওয়াকফ এস্টেটের বড় পুকুর

ইউএনওর হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল কুলাউড়ায় ওয়াকফ এস্টেটের বড় পুকুর

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরের জয়পাশায় সাহেব বাড়ির মসজিদের সামনে সৈয়দ হেদায়ত উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেট এর বড় পুকুরটি মাটি ভরাট করে দখলের চেষ্টা চলছে। মৃত হেদায়ত উল্লাহর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দীর্ঘদিন থেকে প্রবাস যুক্তরাজ্য বসবাস করছেন আর এ সুযোগে বাড়িতে থাকা হেদায়ত উল্লাহর ছেলে রানা ডালিম বাবু ক্ষমতা খাঁটিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অগোচরে গত (৭ ডিসেম্বর) রবিবার পুকুরটি ভরাটের লক্ষ্যে গাড়ি দিয়ে মাটি ফেলা শুরু করেন। 

হটাৎ করে পুকুরে মাটি ফেলা দেখে স্থানীয়রা হতবাক হয়ে পড়েন। তারা বিষয়টি সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন সরেজমিনে (৮ ডিসেম্বর) সোমবার ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে  কাজটি বন্ধের নির্দেশ দেন। এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর প্রচেষ্টায় রক্ষা পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী জয়পাশা সৈয়দ হেদায়েত উল্ল্যাহ ওয়াকফ এস্টেট এর বড় পুকুরটি। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জয়পাশা সাহেব বাড়ীর মসজিদের সামনে বড় পুকুরটি যুগ যুগ থেকে এলাকার হাজার হাজার মানুষ ওজু, গোসলসহ নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার করে আসছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এলাকার স্থানীয় কয়েকজন জানান, মৃত সৈয়দ হেদায়ত উল্লাহ জীবদ্দশায় এলাকার স্থানীয় মানুষের স্বার্থে নির্মাণাধীন মসজিদ, পুকুরসহ বেশ কিছু সম্পত্তি ওয়াকফ করে রেখে যান। এতদিন সবকিছু ঠিকমতো চললেও  ইদানিং কিছু কুচক্রি মহলের সহযোগিতায় বাড়িতে থাকা তার ছেলে সৈয়দ রানা ডালিম বাবু ওয়াকফ এস্টেট এর সম্পত্তির পুকুরটি মাটি ভরাট করে বিক্রি করার পাঁয়তারা করেন, যার কারণে তিনি অবৈধভাবে পুকুরে মাটি ভরাট করা শুরু করেন।

আরও পড়ুন: নিজ দায়িত্বে দৃঢ়তা ও সৎ থাকলে কোন কিছুই অসম্ভব নয়: ইউএনও সবিতা

অভিযুক্ত সৈয়দ রানা ডালিম বাবুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুকুরের এই জায়গাটি তার নামে নামজারি করা। একসময় ভুলে সেই জায়গাটি ওয়াকফ নামে চলে গিয়েছিল। বর্তমানে তিনি তার নামে রেকর্ডভুক্ত করে খাজনা পরিশোধ করছেন। ইউএনও এসে পুকুরে মাটি ভরাটে বাঁধা দেওয়ায় তিনি কাজ বন্ধ রেখেছেন।

এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন জানান, উপজেলার জয়পাশা এলাকায় একটি পুকুরে মাটি ভরাট করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ আইনে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেই। ভবিষ্যতে যদি তারা আইন অমান্য করে আবার মাটি ভরাটের চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়